• সর্বশেষ আপডেট

    বহিস্কৃত মেয়র আব্বাসকে খুজছে পুলিশ।

      

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে পুলিশ খুঁজছে। আব্বাসের অবস্থান জানা গেলেই অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন এমনটি জানিয়েছেন। 

    রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘ছড়িয়ে পড়া অডিওটি মেয়র আব্বাসের কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য একজন বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া হচ্ছিল। এর মধ্যেই গত শুক্রবার মেয়র নিজেই ফেসবুক লাইভে এসে অডিওটির সত্যতা স্বীকার করেছেন। এতে তাঁর দোষ প্রমাণিত হয়।’ 


    ওসি বলেন, ‘এখন তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা খুঁজছি। পাওয়ামাত্র গ্রেপ্তার করা হবে। তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুতই তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে।’ 

    ওসি জানান, এই ধরনের মামলায় মেয়রকে গ্রেপ্তারের জন্য কোনো  পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই।তা-ও বিষয়টি জানিয়ে রাখার জন্য জেলা প্রশাসককে একটি চিঠি দিয়ে রাখাহ হয়েছে। 


    বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা দুটি অডিও ক্লিপ গত সোমবার ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে রাজশাহীতে আব্বাসের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি চলছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল মমিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও করেন। এই মামলায় মেয়রকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। 

    এদিকে আব্বাস আলীকে এরই মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও কাটাখালী পৌর শাখার আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে শোকজও করা হয়েছে। শোকজের জবাব পাওয়ার পর স্থায়ী বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। পৌরসভার কাউন্সিলররা মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও জমা দিয়েছেন জেলা প্রশাসকের কাছে। জেলা প্রশাসক তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। 


    আব্বাস আলী গত মঙ্গলবার থেকেই আত্মগোপনে। তবে শুক্রবার তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিজের ভুল স্বীকার করে তিনি ক্ষমা চান। কামনা করেন একটু সহানুভূতি।   


    প্রকাশিত: শনিবার ২৭ নভেম্বর ২০২১