• সর্বশেষ আপডেট

    তামিমা ফিরে আসলে গ্রহণ করবেন রাকিব

      

    ঢাকা- ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিষয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    তদন্তে প্রমাণ হয়েছে যে, নাসির-তামিমা যে বিয়ে করেছেন সেটি অবৈধ। তালাক হতে গেলে যে প্রক্রিয়া মানা দরকার তার কোনোটিই তারা মানেননি। ফলে তামিমা এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী।

    রাকিব হাসানও তেমনটি জানিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, ‘আমি পিবিআইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই যে সত্যিটা ওনারা সামনে নিয়ে আসছে। এখনো তো সে (তাম্মি) আইনত আমার ওয়াইফ। তো এখন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা দুই জনের। আমার সিদ্ধান্তে তো হবে না তারও সিদ্ধান্ত আছে। অবশ্যই সে যদি কন্টিনিউ করে আমি করব।’

    এর আগে, নাসির ও তামিমার বিয়ে অবৈধ বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন এ সংক্রান্ত মামলার বাদী ও তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব।

    পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমা ও রাকিব হাসানের বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা। রাকিবকে ডিভোর্স না দিয়েই ক্রিকেটার নাসিরকে বিয়ে করেন তামিমা।

    ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করেন নাসির-এ অভিযোগে তার ও তামিমার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পিবিআইকে তা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

    এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে মামলাটি করেন তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব।

    রাকিবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদীর (রাকিব হাসান) সঙ্গে ১ নম্বর আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী ৩ লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের তোবা হাসান নামে এক মেয়ে রয়েছে। যার বর্তমান বয়স ৮ বছর।

    মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।

    মামলায় বলা হয়, ‘চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে ২ নং আসামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদীর নজরে আসে। বাদী এই ধরনের ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। পরে পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ দেখে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত হন।’

    এছাড়া তাদের গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে।

    মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদীকে ফোন করে জানান যে সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার নাসিরকে বিয়ে করা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামির সঙ্গে তিনি অবৈধ বিয়ের সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা নিকৃষ্ট ব্যভিচার।’

    অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশু কন্যা মারাত্মকভাবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে বাদীর চরম মানহানি হয়েছে যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১