• সর্বশেষ আপডেট

    ঘরে ঘরে জ্বরের রোগী পরীক্ষায় নেই আগ্রহ !

                                 

    জামালপুরের লান্দহে কয়েক সপ্তাহ ধরে বেড়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বলছেন এলাকার পল্লি চিকিৎসকসহ ওষুধের দোকানিরা। শিশুসহ সব বয়সের মানুষই আক্রান্ত হচ্ছেন ঠান্ডাজনিত রোগে।

     ফার্মেসিতে বেড়েছে ভিড়। তবে উপসর্গ থাকলেও গ্রামগঞ্জের মানুষের মধ্যে করোনা পরীক্ষার আগ্রহ কম। ঠান্ডাজ্বর নিয়েই এলাকার মোড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন লোকজন। বাজারে ঘুরছেন অনেকেই। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে গুরুত্বহীনতা ও জনসচেতনতার অভাবই এর জন্য দায়ী।

    উপজেলার একজন ওষুধ বিক্রেতা জহুরুল হক বলেন, প্রতিদিন ৩০-২৫ জন লোক ঠান্ডাজ্বরের জন্য ওষুধ নিতে আসছেন। স্থানীয় দোকানগুলোতে প্যারাসিটামল–জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

    ঠান্ডাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে আসা পৌরসভার কামদেব বাড়ি এলাকায় আনছার আলী বলেন, ‘আমার দুই দিন ধরে ঠান্ডাজ্বর। নাপা খাইছি, জ্বর কমে নাই, আজ আবার ভালো ওষুধ কিনলাম। বাড়ির আশপাশে আরও অনেকেরই এমন জ্বর দেখা দিয়েছে।’
    ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে পল্লি চিকিৎসক সাইদুল ইসলাম বলেন, এখন ঘরে ঘরে জ্বরের রোগী। অনেকই এসে জ্বর, গলাব্যথা, কাশির কথা বলে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন। সর্দি-কাশি-জ্বরের ওষুধ বিক্রি ব্যাপক বেড়ে গেছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক বলেন, উপজেলায় জ্বর-সর্দি বেড়েছে। করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকলেও পরীক্ষা করছেন না বেশির ভাগ মানুষ। ফলে আলাদা করা যাচ্ছে না তাঁদের। যাঁরা ঠান্ডাজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা করোনা পরীক্ষা করান।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ১৪ জুলাই, ২০২১