• সর্বশেষ আপডেট

    চট্টগ্রামে করোনা রোগীর চিকিৎসায় এবারো পার্কভিউ হাসপাতাল এগিয়ে!


    এম এ মেহেদিঃ মহামারি করোনায ভাইরাসের প্রকোপে দিসেহারা সারা বিশ্ব বাংলাদেশ এর বেতিক্রম নয়। গত বছর শুরুতে এই ভয়ংকর কোরানায় আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা পেতে ঘুরতে হয়েছে হাসপাতালের দোয়ারে দোয়ারে। চট্টগ্রামেও ছিল একই চিত্র, দেশের মানুষ দেখেছে হাসপাতেল বেড না পেয়ে অক্সিজেনের অভাবে রাস্তায় হাসপাতালের গাইটে মারা গিয়েছে অনেক মানুষ।

     সেই সময় চট্টগ্রামে সরকারি হাসপাতল গুলোতে ছিল করোনা আক্রান্ত রোগী কানায় কানায় ভরা, বেড না পেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে স্বজনদের আহাজারীতে ভারি হয়ে উঠেছিল দেশের আকাশ বাতাস।

    বেসরকারী হাসপাতাল গুলোর দোয়ারে দোয়ারে ঘুরেও করোনা চিকিৎসা দুরের কথা অন্যন্য রোগের চিকিৎসা সেবাও পাইনি সাধারন মানুষ। সেই সময় সর্বপ্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে এগিয়ে আসে নগরীর পার্কভিউ হসপিটাল ও ডায়াগনষ্টিত সেন্টার।

    কভিড আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসিইউ এইচডিইউ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সহ  প্রস্তুত করা হয় করোনা কভিড ইউনিট। সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালের দুটি ফ্লোরে শুরুতে ৫২টি আইসোলেশন বেড ও ১৮টি আইসিইউ, বেড নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম। পরিসংখানে দেখা গেছে পার্কভিউ হসপিটালে চিকিৎসা সেবা পেয়ে সুস্থের হারছিল অনেক বেশি মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অতি নগন্য।

    মধ্যখানে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও এবছর তা আরো ভয়ংকর রুপ ধারণ করেছে,আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হারমানিয়েছে অতিতের সব রেকর্ডকে, একদিনে এত আক্রান্ত এত মৃত্যু এর আগে দেখেনি দেশের মানুষ। বানিজ্যিক নগরী চট্টগ্রাম ও ভিন্ন নয়, করোনা প্রকোপ শুরু থেকে এই পর্যন্ত এবারের মত এত আক্রান্ত ও মৃত্যু আগে দেখেনি নগরবাসী। এবার নিরলশভাবে ভয়াবহ এই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত আড়াই হাজার এরও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে পার্কভিউ হসপিটাল যার মধ্য ৬০০ এর বেশি রোগী নিয়েছেন আইসিইউতে চিকিৎসা সেবা।

    পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম বলেন, আমরা সম্পূর্ণ আলাদাভাবে আলাদা কেবিনে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি, শুধু কভিড ইউনিটের জন্য আলাদা সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করেছি।

     ৪০ জন অভিজ্ঞ ডাক্তার নার্স করোনা ইউনিটে চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন। ডাক্তাররা যেন নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন সেজন্য ডাক্তারদের অগ্রিম আর্থিক প্রনদনা দেয়া হয়েছে, তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করেছি, করোনা চিকিৎসায় প্রতি মাসে মাসে ডাক্তারদের বিষেশ ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে।আমরা সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে মহামারি করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

    তিনি বলেন একজন করোনা আক্রান্ত রুগী আমাদের সেবা পেয়ে যখন হাসি মুখে স্বজনদের কাছে ফিরে যায় এতে আমরা অনেক আনন্দ পায়। যতদিন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকবে আমারা মানুষকে চিকিৎসা সেভা দিয়ে যাব ইনশাহআল্লাহ।


    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল, ২০২১