• সর্বশেষ আপডেট

    সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে মামুনুল হক গ্রেপ্তার : ডিসি হারুন


    রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নানা অভিযোগের ‘সুস্পষ্ট প্রমাণের’ ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। রোববার দুপুর একটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    দুপুরে ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

    হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আপনারা বেশ কিছুদিন যাবৎ সারা দেশে হেফাজতের তাণ্ডব দেখেছেন। সরকারি স্থপনাসহ থানায় হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এ ছাড়া আমাদের মোহাম্মদপুর থানায়ও একটি ভাংচুরের মামলা ছিল। আমরা মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলাটির তদন্ত করছিলাম। আমরা কনফার্ম হয়েছি যে, এই মামলার সঙ্গে তিনি জড়িত। ওই ঘটনা মামুনুল হক জানে এবং তিনি স্বীকারও করেছেন।’

    উপকমিশনার বলেন, ‘এ ছাড়া পল্টন থানাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অধিকাংশ মামলা মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে। সে উস্কানিমূলক বক্তব্যও দিয়েছে। তাঁর বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকে হামলা করেছে। এসব ঘটনার পরে আমরা তাঁকে নজরদারিতে রেখেছিলাম। এখন সমস্ত ঘটনার অভিযোগের ব্যাপারে ও আমাদের মোহাম্মদপুর থানায় মামলার ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে, আমরা শুনেছি তাঁকে সেসব মামলায়ও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’

    হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের মামলাটি হয়েছিল ২০২০ সালে। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুল। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

    পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এখন তাঁকে তেজগাঁও থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আগামীকাল সোমবার আদালতে পাঠানো হবে।’

    এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে বাইতুল মোকাররমে নাশকতা ও তাণ্ডবের ঘটনার মামলার আসামি মামুনুল হক। এ তাণ্ডবের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে মামুনুল হক অন্যতম। শুধু তাই নয়, ২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরের ঘটনার মামলারও আসামি তিনি।’

    তেজগাঁও বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টের ঘটনায় পর মামুনুল হক ওই রাতেই ঢাকায় চলে আসেন। মোহাম্মদপুরে তাঁর নিজ বাসা থাকলেও তিনি সেখানে না গিয়ে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন।


    প্রকাশিত: শনিবার ১৭ এপ্রিল, ২০২১