• সর্বশেষ আপডেট

    রাঙ্গুনিয়ায় শরণাংকর ভিক্ষুর প্রবেশ ঠেকাতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাংকর থের’র প্রবেশ ঠেকাতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ফলাহারিয়া এলাকাবাসী। নানা ঘটনায় বিতর্ক জন্ম দেয়া এই ভিক্ষুর ফলহারিয়া জ্ঞানশরন মহাঅরণ্য বৌদ্ধ বিহারে প্রবেশ ঠেকাতে এলাকার সকল ধর্মের নেতৃবৃন্ধ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নেমেছেন। বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাংকর থের রাঙ্গুনিয়ায় প্রবেশের পাঁয়তারা চালানোর খবরে লাঠিসোটা হাতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে স্থানীয়রা।

     যেকোন ধরণের অপ্রীতকর ঘটনা এড়াতে গ্রামে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন।  
    শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মুসলিম উম্মাহ ঐক্য পরিষদের আয়োজনে ফলাহারিয়া বাজার প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও বিক্ষাভ সমাবেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বিরা অংশ নিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সৌহার্দ্য অবস্থানের উদাহরণ সৃষ্টিকারী রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের ফলহারিয়া গ্রামের বাসিন্দারা জীবন দিয়ে হলেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে শতাধিক একর বনের জায়গা দখলকারী শরণাঙ্কর ভিক্ষুর প্রবেশ ঠেকাবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে বিক্ষেভ সমাবেশে ঘোষণা দেন।  
    সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হাকিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পদুয়া ইউনিয়ন মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি মুহাম্মদ বদিউজ্জামান বদি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মো. শাহজাহান মেম্বার, মাওলানা মুহাম্মদ ইদ্রিছ, সাঈদ মোহাম্মদ রনি, টিটু বড়ুয়া, বিধান বড়ুয়া, বিধু বড়ুয়া, অলক বড়ুয়া, সুধীর কান্তি শীল, মাওলানা জিয়াউর রহমান, প্রিয়তোষ কান্তি দে, মোহাম্মদ সেলিম, মো. আকতার হোসেন, মো. আক্কাস মিয়া, সঞ্জয় দে ভুট্টো, সানাউল্লাহ মেম্বার, মহির উদ্দিন রানা, আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।
    বিক্ষোব সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা জ্ঞাণস্মরণ মহারণ্য অভিমূখে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশি বাঁধায় মাঝপথেই মিছিল শেষ করা হয়।
    উল্লেখ্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে শরণাংকর ভিক্ষুর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরআগে আবারও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে বাধা দিলে তার অনুসারীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছিল তিন বনকর্মী। এভাবে বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাংকর থের’র বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উষ্কানি, ধর্মের নামে সরকারি বনভূমি উজাড়, জোরপূর্বক নিরহ মানুষের জায়গা-জমি দখল, ঘরবাড়ি উচ্ছেদ, ফলজচারা কর্তন, হিন্দু সম্প্রদায়ের শশ্মান দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডে তার বিরুদ্ধে ১৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। শরণাংকর ভিক্ষুকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবীতে প্রায় ৮ মাস ধরে দেশব্যাপী নানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


    প্রকাশিত: শুক্রবার ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১