• সর্বশেষ আপডেট

    নগরীর সুবিধা ভোগী একশতাংশ সার্ভিজ চার্জ দিলে চসিক আত্মনির্ভরশীল হবে।

                 সদ্য বিদায়ী চসিক প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সাংবাদিকবৃন্দের
                সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ
    আলম সুজন বলেন, নগরীর সুবিধাভোগী সংস্থাগুলো যদি তাদের আয়ের এক শতাংশ
    সার্ভিজ চার্জ দেয় তাহলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আত্মনির্ভরশীল হবে এবং
    আশে-পাশে শহর ও উপশহরগুলোও চালাতে পারবে।

     সুবিধা ভোগী এই সংস্থাগুলো হলো চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস্ধসঢ়; ও ইপিজেড। এই ইপিজেডে এক হাজার ছয়শতটি প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের মাঝে মাত্র ১২ টির ট্রেড লাইসেন্স আছে। ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোন কর দিতে হয় না। অথচ তারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের
    বেশী পরিমান সুবিধা ভোগী।

     তিনি আরো বলেন, আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে
    বুঝেছি যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দশ হাজারের বেশী জনবল আছে। কিন্তু
    এর মধ্যে এক হাজার জনও দক্ষ নেই। এই দক্ষ জনবল নিয়োগে সিটি কর্পোরেশনকে
    অগ্রানোগ্রাম অনুযায়ী ক্ষমতা দিতে হবে।

     তিনি উল্লেখ করেন যে, পরিচ্ছন্ন বিভাগে অতিরিক্ত জনবল আছে। তবে তারা অধিকাংশই কাজে নেই। হাজিরায় আছে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে চিটাগাং সিনিয়রস্ধসঢ়; ক্লাব লিঃ এর অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথাগুলো বলেছেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী করদাতাদের
    দেয়া অর্থে চলেন। তাই কর দাতাদের সম্মান করতে হবে। এ লক্ষ্যে কর আদায় পদ্ধতি সহজ
    করতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাখাতকে
    গুরুত্বপ‚র্ণ হিসেবে অবহিত করে বলেন, সাবেক সিটি মেয়র জননেতা এ.বি.এম
    মহিউদ্দিন চৌধুরী এই দুটি খাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই এই দুটি খাত
    দেশে বিদেশে প্রসংশিত। 

    তবে এই দুটি খাতে সিটি কর্পোরেশনকে বিপুল পরিমাণ
    ভ‚র্তুকি দিতে হয়। এই ভ‚তুর্কি সিটি কর্পোরেশনের জন্য বোঝা। শিক্ষা খাতে
    প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চসিকের আওতায় থাকতে পারে। আমি এমনও জানি যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে স্বয়ং সম্প‚র্ণ সেগুলোকেও সিটি কর্পোরেশনের অধিনে আনা হয়েছে, এটা কোন প্রয়োজন ছিল না। তিনি
    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীনে পরিচালিত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে
    লাভজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এসবের পরিচালনা ব্যবস্থা ত্রুটি আছে।

    এই খাতে বিদেশী বিনিয়োগ করার জন্য আমি নির্বাচিত পরিষদকে
    আহবান জানাতে অনুরোধ করছি। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রাম বন্দর অফিসিয়াল হিসেব অনুযায়ী বার্ষিক ৩৬ কোটি টাকা কর দেয় কিন্তু ন্যায্য হিসেব করলে সিটি কর্পোরেশন পাবে ২১৬ কোটি টাকা।

    আমি আশা প্রকাশ করবো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের
    নবনির্বাচিত পরিষদ এ ব্যাপারে প্রাপ্য হিস্যা আদায় করে নেবেন।




    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১