মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান
সকালে একাধিক অভিযান চালিয়ে সামরিক বাহিনী সিনিয়র সরকারী সদস্যদের গ্রেপ্তার করে এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।

নভেম্বরের সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা বাড়ানোর কয়েকদিন পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে এবং এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
সোমবার রাজধানীর নায়পিডাডুতে দেশটির প্রকৃত নেতা অং সান সু কি, রাষ্ট্রপতি উইন মাইন্ট এবং ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টির অন্যান্য প্রবীণ সদস্যদের আটক করা হয়েছিল।
সামরিক মালিকানাধীন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ভিডিওতে বলা হয়েছে যে নভেম্বরের ভোটে “বিশাল অনিয়ম” উদ্ধৃত করে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের 'গভীর উদ্বেগ':
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তারা মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি "নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ" করা হচ্ছে।
ভারত সবসময় মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়ায় তার সমর্থনে অনড় থাকে," মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
"আমরা বিশ্বাস করি যে আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে হবে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
মানবাধিকার সংস্থার আহ্বান:
মানবাধিকার সংস্থা দেশটির ডি ফ্যাক্টো শাসক অং সান সু চিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
ফোর্টিফাই রাইটস-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, "সামরিক বাহিনীকে অবিলম্বে এই পরিস্থিতি শীতল করতে হবে এবং আজকে আটককৃতদের নিঃশর্তভাবে মুক্ত করতে হবে।"
স্মিথ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, "সামরিক বাহিনীর উচিত গ্রেপ্তার বন্ধ করা এবং আটককৃতদের নিরাপত্তা এবং কল্যাণের নিশ্চয়তা প্রদান করা।"
The #Myanmar military needs to urgently de-escalate this situation and unconditionally free all of those detained today. The military should cease any further arrests and publicly guarantee the safety and well-being of those detained. #Myanmarcoup
— Matthew Smith (@matthewfsmith) February 1, 2021
যুক্তরাজ্যের নিন্দা:
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মায়ানমারের সাম্প্রতিক ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
জনসন টুইটারে বলেন, "আমি মিয়ানমারে অং সান সু চিসহ বেসামরিক নাগরিকদের অবৈধ ভাবে কারাদণ্ডের এবং অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাই।
"জনগণের ভোটকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং বেসামরিক নেতাদের মুক্তি দিতে হবে," যোগ করেন তিনি।
I condemn the coup and unlawful imprisonment of civilians, including Aung San Suu Kyi, in Myanmar. The vote of the people must be respected and civilian leaders released.
— Boris Johnson (@BorisJohnson) February 1, 2021
ফ্রান্স, জার্মানির উদ্বেগ প্রকাশ
ফ্রান্স নোবেল বিজয়ী অংসান সুচির অবিলম্বে মুক্তি এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে ৮ ই নভেম্বর নির্বাচনের ফলাফলকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলি।