• সর্বশেষ আপডেট

    মামুনুল ফয়জুলের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাস্কর্য ভাঙচুর: পুলিশ


    মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের নির্দেশে দুই ছাত্র কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় চার মাদ্রাসাছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরাসরি ভাঙার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজেও তাদের ভাস্কর্য ভাঙতে দেখা যায়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, মাদ্রাসার দুজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্য ভাঙার নির্দেশ দেন।

     
    পুলিশ আরো জানায়, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওই দুই মাদ্রাসাছাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছেন।

    কুষ্টিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে খুলনার রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মাদ মহিউদ্দিন জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে প্রথমে ইবনে মাসুদ মাদ্রাসার দুই ছাত্র আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে আবু বকর মিঠুন এবং সবুজ ইসলাম নাহিদ নামে আরো দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    পুলিশের জানায়, মামুনুল হক ও ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবু বকর ও সবুজ ইসলাম গত শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছেন। ঘটনার রাতে তারা দুজন একসঙ্গে মাদ্রাসা থেকে হেঁটে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাঁচ রাস্তার মোড়ে যান। ভাস্কর্য নির্মাণে ব্যবহৃত বাঁশের মই বেয়ে দুজন ওপরে ওঠেন।

    এরপর সবুজ পিঠে থাকা ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বের করেন। দুজন মিলে ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। ৮ মিনিট ধরে ভাঙচুরের পর তারা আবার হেঁটে মাদ্রাসায় ফিরে যান। শনিবার সকালে তারা বিষয়টি মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন ও ই্উসুফকে জানান। তারা দুই ছাত্রকে পালিয়ে যেতে বলেন। দুই ছাত্র পরে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

    শনিবার রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

    এছাড়াও এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।

    প্রকাশিত: রবিবার, ০৬ ডিসেমম্বর, ২০২০