• সর্বশেষ আপডেট

    গ্রাহকের ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা সংঘবদ্ধ চক্র


    জামানতের দ্বিগুণ টাকা ফেরতের কথা বলে নীলফামারীতে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা সংঘবদ্ধ চক্র। সমবায় সমিতির আড়ালে শত শত নারীকে জড়ানো হয় প্রতারণার ফাঁদে।

    নীলফামারীর ডোমারে ৬০০ নারীর সংসারে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতি নামে একটি হায় হায় কোম্পানি। কয়েকদিনে জামানতের দ্বিগুণ টাকা ফেরতের প্রলোভন দিয়ে মাত্র ৪৫ দিনে বিছানো প্রতারণার জালে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

    সংসারের শান্তি ফেরাতে রাস্তায় নেমে মিছিল-মিটিং করছেন প্রতারিত নারীরা। তাদের কারও ছিল তিলে তিলে জমানো টাকা। কেউ আবার সুদের ওপর টাকা এনে দিয়েছিলেন। এক রাতে হঠাৎ উধাও সমিতির কর্মকর্তারা।

    প্রতারিতরা জানান, শুরুতেই এলাকার কিছু নারী নিজেদের ইচ্ছা মাফিক টাকা জামানত দিয়ে সমমূল্যের পণ্য নেন। এর কিছু দিনের মধ্যে ফেরৎ পান জামানতের পুরো টাকাই। এতে প্রলুব্ধ হয়ে এলাকার কয়েকশ’ নারী ১০ হাজার থেকে ৪ লাখ পর্যন্ত টাকা দিয়েছেন।

    পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল হক প্রতারকদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। আর ডোমার পৌরসভার মেয়র মনসুরুল ইসলাম দানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সমিতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সমিতির সদস্য হতে নারীদের উৎসাহ দিলেও এখন আর দায়িত্ব নিচ্ছেন না।

    সমিতির সভাপতি মালিক হোসেন, কর্মকর্তা নূর আলম, মাহবুব ও নাজমা সবাই পলাতক। পৌর মেয়রকে বারবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। আর মোবাইল ফোনে আওয়ামী লীগ নেতা ময়নুল হক অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বললেন, এটা বিরোধীদের প্রোপাগান্ডা।

    তিনি বলেন, টাকা দেওয়ার সময় কিছু জিজ্ঞাসা করে নাই। এখন টাকা নিয়ে গেছে আর নারীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমরা প্রতিপক্ষরা এসব করছে।

    মামলা দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি-ভুক্তভোগীদের এ অভিযোগের সদুত্তর নেই থানার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে।

    তিনি বলেন, আমাদের কাছে অসহযোগিতার কোনো সুযোগ নেই। এখন যদি কেউ এসে আমাদের কাছে অভিযোগ করে আমরা এ মুহূর্তে অ্যাকশনে নেমে যাব।

    ৬শ’ নারী সদস্য তৈরি করে তাদের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এ ঘটনাটি ঘটেছে মাত্র ৪৫ দিনে।



    প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ ডিসেমম্বর, ২০২০