• সর্বশেষ আপডেট

    শিশু সামিউল হত্যা: মা ও তার পরকিয়া প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড


    রাজধানীর আদাবরে পরকীয়ার জেরে শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফিকে (৫) হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মা এশা ও এশার প্রেমিক বাক্কুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    রোববার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

    এর আগে গত ২৩ নভেম্বর বহুল আলোচিত মামলাটির রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। পরে গত ৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু ওইদিন মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক ২০ ডিসেম্বর নতুন করে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। বর্তমানে দুই আসামিই জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফারুকুজ্জামান ভূঁইয়া।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৩ জুন পরকীয়া প্রেমিক শামসুজ্জামান আরিফ ওরফে বাক্কুর সঙ্গে মায়ের অনৈতিক কোনো ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে সামিউলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ফ্রিজে ঢোকানো হয়। পরেদিন লাশটি বস্তায় ঢুকিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। সামিউলের লাশ আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    ওই ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা কে এ আজম বাদী হয়ে ওইদিন আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সামিউলের মা এশা এবং বাক্কু উভয়েই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

    ২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান হক এশা ও বাক্কুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

    প্রকাশিত: রবিবার, ২০ ডিসেমম্বর, ২০২০