• সর্বশেষ আপডেট

    শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় মুগ্ধ আসিফ নজরুল!


    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সাফল্যে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।  

    বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার কিছু জিনিস অপছন্দ করি। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণে তার দৃঢ়তা ও সাফল্যে মুগ্ধ আমি। দেশের জন্য অনেক বড় কাজ হলো এটা। অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী আপনাকে।’

    উল্লেখ্য, পদ্মা শুধু একটা সেতু নয়, দেশের লাখো মানুষের আবেগ অনুভূতি জড়িয়ে আছে এই সেতুর সঙ্গে। তবে এটি শুধু বিশ্বব্যাংকের সাথে চ্যালেঞ্জ নয়, কারিগরি দিক থেকেও বিশ্বের মধ্যে নানা কারণে অনন্য বাংলাদেশের এ সেতুটি। এ পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার মধ্যেই তিনটি বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছে পদ্মা সেতু। একটি হল- পদ্মা সেতুর পাইলিং। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, পদ্মা সেতুর খুঁটির নিচে সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীরে স্টিলের পাইল বসানো হয়েছে।  

    দ্বিতীয় রেকর্ড হল, ভূমিকম্প থেকে পদ্মা সেতুকে টেকাতে ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’ লাগানো হয়েছে।  যেই বিয়ারিংয়ের সক্ষমতা ১০ হাজার টন। এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো সেতুতে এমন সক্ষমতার বিয়ারিং লাগানো হয়নি। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পেও টিকে থাকতে পারবে পদ্মা সেতু।

    আর তৃতীয় রেকর্ড হল, নদীশাসন। নদীশাসনে চীনের ঠিকাদার সিনোহাইড্রো কর্পোরেশনের সঙ্গে ১১০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে। এর আগে নদীশাসনে এককভাবে এত বড় দরপত্র বিশ্বে আর হয়নি। এ ছাড়া পদ্মা সেতুতে পাইলিং ও খুঁটির কিছু অংশে অতি মিহি (মাইক্রোফাইন) সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এসব সিমেন্ট অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হয়েছে। এ ধরনের অতি মিহি সিমেন্ট সাধারণত ব্যবহার করা হয় না। 

    পদ্মা সেতুর চূড়ান্ত স্প্যানটি বসানোর সেই মাহেন্দ্রক্ষণে অনেকেই ছুটে যান সেতুটির কাছে। তারা উপভোগ করেন এই জয়যাত্রা। মিছিলও বের করেন অনেকে। এদিকে এখনও সেতুর আরও কিছু কাজ বাকি আছে। যেমন- রোডওয়ে স্ল্যাব, রেলওয়ে স্ল্যাব, সুপার-টি গার্ডার বসানো। স্ল্যাবের উপর পিচ ঢালাইয়ের কাজ, আলোকসজ্জা, ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজও বাকি আছে। সব মিলিয়ে যান চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করতে আরও এক বছর লাগতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

    প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ ডিসেমম্বর, ২০২০