• সর্বশেষ আপডেট

    চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর নতুন তিনটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজ কমিশনিং করলেনঃ প্রধানমন্ত্রী

    দিগন্ত নিজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম, ০৫ নভেম্বর বাংলাদেশের জলসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নৌবহরে সংযোজিত হলো নতুন দুইটি আধুনিক ফ্রিগেট বানৌজা ওমর ফারুক, আবু
    উবাইদাহ ও একটি করভেট যুদ্ধজাহাজ প্রত্যাশা এবং দুইটি জরিপ জাহাজ বানৌজা
    দর্শক ও তল্লাশী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার ৫ নভেম্বর
    গণভবন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে জাহাজসমূহকে নৌবাহিনীতে
    কমিশনিং করেন।

    এরমধ্য দিয়ে যুদ্ধজাহাজসমূহ নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল
    কার্যক্রম শুরু করলো। এর আগে চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসাখান নৌ জেটিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
    পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল জাহাজসমূহের অধিনায়কগণের হাতে
    কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ফলক
    উন্মোচন করেন।

    কমিশনিং অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক শক্তিশালী
    ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে রুপান্তরে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াসের কথা উল্লেখ করেন।
    তিনি বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর
    আধুনিক নৌবাহিনী গড়ার স্বপ্নকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের
    অংশ হিসেবে সদ্য সংযোজিত হওয়া এ জাহাজসমূহ নৌবহরে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


    দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালনে ফোর্সেস গোল
    ২০৩০ এর আলোকে নৌবহরে সংযুক্ত হলো এ পাঁচটি আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ। সদ্য সংযোজিত
    হওয়া নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট ওমর ফারু ও আবু উবাইদাহ এর প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১১২
    মিটার ও প্রস্থ ১২.৪ মিটার এবং করভেট যুদ্ধজাহাজ বানৌজা প্রত্যাশা এর দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার ও প্রস্থ ১১.১৪মিটার।

     যুদ্ধ জাহাজসমূহ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। যুদ্ধজাহাজসমূহ শত্রুর বিমান, জাহাজ এবং স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপনযোগ্য মিসাইল,
    অত্যাধুনিক থ্রিডি র‌্যাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, র‌্যাডারজ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরণের
    যুদ্ধ সরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত। এছাড়াজাহাজসমূহে হেলিকপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য রয়েছে ডেক ল্যান্ডিং সুবিধাদি।

    গভীর সমুদ্রে দীর্ঘ সময়ব্যাপী মোতায়নযোগ্য এ জাহাজসমূহের
    মাধ্যমে বিশাল সমুদ্র এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও জলদস্যূতা রোধ, সমুদ্রে উদ্ধার
    তৎপরতা, ভূ-ইকোনমির বিভিন্নকর্মকান্ড পরিচালনাসহ মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার
    পাশাপাশি তেল, গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বরাদ্দকৃত বøকসমূহের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

    পাশাপাশি, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিজস্ব প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতায় আরোও
    একটি মাইলফলক অর্জনে যুক্ত হলো খুলনা শীপইয়ার্ডে নির্মিত আধুনিক দুটি জরিপ জাহাজ
    বানৌজা দর্শক ও তল্লাশী। এজরিপ জাহাজ দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৩২.৭৮মিটার ও প্রস্থ
    ৮.৪ মিটার যা ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৪ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। দেশের উপকূলীয় এলাকায় সকল ধরনের হাইড্রোগ্রাফিক এবং ওশানোগ্রাফিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার সক্ষমতা রয়েছে জাহাজ দুটির।

    কমিশনিং অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উর্দ্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ
    উপস্থিত ছিলেন।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২০