• সর্বশেষ আপডেট

    দখল- দূষনে অস্তিত্ব সংকটে প্রানের কর্ণফুলী!


    দিগন্ত ডেস্কঃ দখল এবং দূষণের পাশাপাশি অপরিকল্পিত খননের কবলে পড়ে মাত্র দুই দশকে অর্ধেকের বেশি ভরাট হয়ে গেছে দেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী। শাহ আমানত সেতু পয়েন্টে ৮৮৬ মিটারের স্থলে নদী এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর ফলে নাব্য হারিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর চরম ঝুঁকির মধ্যে।

    সরকারি বিভিন্ন সংস্থার রশি টানাটানিতে নিজের অস্তিত্ব নিয়েই এখন শঙ্কায় খরস্রোতা কর্ণফুলী নদী। ভরাট হতে হতে জোয়ার-ভাটার এ নদী সংকুচিত হয়ে পড়ছে।

    সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, বিভিন্ন পয়েন্টে এ নদীর প্রস্থ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে নদীর দক্ষিণ অংশে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে শাহ আমানত সেতু।

    নদী ও খাল রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, কর্নফুলীর বন্দর নির্ধারণ করে দিয়েছে ১০০ ফুঁট নীচে। যেখানে আমরা দাড়িয়েছি তার থেকেও দূরে।

    ১৯৯৭ সালে শেষ হওয়া এডিবি মাস্টার প্ল্যানে শাহ আমানত সেতু পয়েন্টে নদীর প্রস্থ ৮৮৬ দশমিক ১৬ মিটার উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান জরিপে তা ৪১০ মিটারে নেমে এসেছে। একইভাবে রাজাখালী খাল পয়েন্টে ৮৯৮ মিটারের পরিবর্তে ৪৬১ মিটার, চাক্তাই খাল পয়েন্টে ৯৩৮ মিটারের স্থলে বর্তমানে মাত্র ৪৩৬ মিটার প্রস্থ।

    নদী জরিপ কমিটি আহ্বায়ক প্রকৌশলী আলী আশরাফ বলেন, চর জেগেছে, এনক্রসমেন্ট হচ্ছে। এরসঙ্গে বন্দর কর্তঋপক্ষ জড়িত। এভাবে চললে হুমকিতে পড়বে নদী।

    নদীর নাব্য রক্ষায় গত এক বছর ধরে কয়েকটি পয়েন্টে ড্রেজিংয়ের কাজ করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু খননের পরও বাড়ছেনা প্রস্থ। নাব্য সংকট সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর নদীর ১ লাখ ৭৩ হাজার বর্গফুট জায়গা লিজ দিয়েছে বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।

    নদী গবেষক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষরাই এখানে দায়িত্বহীন কাজের পরিচয় দিচ্ছে চরমভাবে।

    এদিকে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে ২ হাজার ১১২টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেছিল জেলা প্রশাসন। এসব স্থাপনা উচ্ছেদে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে উচ্চ আদালতের। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ অভিযান বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

     ''সূত্র সময় টিভিঃ

    প্রকাশিত: বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০