• সর্বশেষ আপডেট

    অনশনে বসেছে বশেমুরবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা


    সজিবুর রহমান,বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতাঃ গোপালগঞ্জ  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনে ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসেছে।দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

    মঙ্গলবার (২৭অক্টোবর) সকাল ১১ টা থেকে তারা অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রায় ৩০ জন অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেছে।তবে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানা গেছে।

    ২০১৯-২০ সেশনে বশেমুরবিপ্রবি তে  ২৭৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু আসন শুন্য থাকা সত্বেও ৪৪৪ টি আসনে ভর্তি নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।এসব শুন্য আসনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিনা নোটিশে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

    দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থেকেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।দূর দূরান্ত থেকে এসে অবশেষে তারা অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।
    এ বিষয়ে ই ইউনিটের অপেক্ষমান শিক্ষার্থী আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন,আমরা ২০১৯-২০ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ও কেন আমাদের ভর্তি নিবে না?কেন আমাদের জীবন শঙ্কায় ফেলে দিলো?আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কেন খেলা করলো?
    প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি,আমাদের ভর্তি করয়ে যেন ফাঁকা আসন পূর্ণ করে।

    ই ইউনিটের অন্য আর এক অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থী মোঃ মিলন আলী বলেন,আমরা মেধা দিয়ে পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হয়েছি।কিন্তু কেন আমাদের ভর্তি নিলো না?কেন ভর্তি বন্ধ করে দিলো আমরা জানিনা।আমরা চাই আমাদের ভর্তি করুক।
    তাছাড়া শিক্ষার্থীরা আরও বলেন,অনলাইনে আমাদের নাম ছিলো।আমাদের ভর্তি নেওয়ার কথা ছিলো।কিন্তু বিনা নোটিশে ভর্তি কেন বাতিল করলো?
    তারা বলেন,প্রক্টর স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,এখন ভার্সিটি বন্ধ।তাছাড়া আমি ও ভিসি স্যার ঢাকাতে আছি।তোমরা রবিবার আসো।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড একিউএম মাহবুব এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,রিজেন্ট বোর্ড ও ইউজিসির সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু করতে পারবো না।আমি নিয়ম মানতে বাধ্য।
    তিনি বলেন আগামী মাসে রিজেন্ট বোর্ডের সভা হবে সেখানে বিষয়টি উত্থাপিত হবে।বোর্ডের সবাই অনুমতি না দিলে একচুলও আমি এগোতে পারবো না।রিজেন্ট বোর্ড ও ইজিসি অনুমতি দিলে ভর্তি নেবো।তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এখন বন্ধ।বছরের শেষদিকে এসে কোনো ভর্তি হয় না।কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে শতভাগ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।তাছাড়া আমি আন্দোলনকারীদের বলেছি তোমরা আগামী সেশনে পরীক্ষা দাও,পাশ করলে আমি দেখবো।

    একপর্যায়ে তিনি সাবেক ভিসি নাসির উদ্দীনকে উল্লেখ করে বলেন,আমি তো নাসির উদ্দীন না যে নিজের ইচ্ছে মতো যা খুশি করবো,হুটহাট করে ভর্তি নিয়ে নেবো।

    শিক্ষার্থীরা পণ করেছেন ভর্তি না হয়ে বাড়ি ফিরবে না।যতক্ষণ দাবি পূরণ না হয় ততক্ষণ অনশন চালিয়ে যাবেন।রিজেন্ট বোর্ড ও ইউজিসির সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে থাকতে এখন তাদের।


    প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০