• সর্বশেষ আপডেট

    ধর্ষণের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের চোখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন।

    সজিবুর রহমান, বশেমুরবিপ্রবিঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সারাদেশে চলমান ধর্ষণ, গণধর্ষণ, নারী শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করছেন।

    মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আইন বিভাগের চুড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ আহমেদ বলেন, যে ঘটনাগুলো মিডিয়াতে আসে, ভাইরাল হয়, শুধু সেই ঘটনাগুলো নিয়েই আন্দোলন হয়। আরো ঘটনা ঘটে, যেগুলো আদালতে ঝুলতে থাকে। আলোচিত-অনালোচিত সব ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

    বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইয়ামিন খান জনি মুঠোফোনে বলেন,ধর্ষণ রুখতে প্রথমে আইন সংস্করণ করার প্রয়োজন,তার সাথে আইন এর সঠিক  প্রয়োগ করা সবথেকে বেশি প্রয়োজন। আজ যদি নিয়ম করে  ধর্ষক দের বিচার হতো দ্রুত এবং কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হতো তাহলে অন্যরা ধর্ষণ করার পূর্বে ১০০ বার ভাবতো।তাই সর্ব প্রথম আইন আইন এবং আইন। এটার সঠিক প্রয়োগ দরকার। তাহলে ধর্ষণ কম হবে।

    প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অর্চি রায় বলেন,মনুষ্যত্বের অবক্ষয় ঘটেছে। নৈতিকতার অভাব, ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব, প্রভৃতি কারণে মনুষ্যত্ব লোপ পাচ্ছে মানুষের দিন দিন। যার ফলস্বরূপ আজকের এই অবস্থা।

    এছাড়াও শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।তারা বলেন ধর্ষণ আমাদের কাম্য নয়।আমরা ধর্ষণ মুক্ত সমাজ ও দেশ চায়।

    মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফেস্টুন,প্লেকার্ড,ব্যানার হাতে অংশ নেন। তাদের ফেস্টুন, প্লেকার্ড, ব্যানারে লেখা ছিলো,"এভাবেই যদি ধর্ষিত হলাম, কোথায় আমার স্বাধীনতা’, ‘ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই’, ‘আমি কবে ধর্ষিত হচ্ছি, জবাব দাও’ধর্ষক মুক্ত সমাজ চায়, ‘স্টপ রেপ’ ইত্যাদি স্লোগান"

    উল্লেখ্য,সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিশু,কিশোরী,নারী,বৃদ্ধা ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়।সিলেটের এমসি কলেজ,নোয়াখালী ঘটনা জাতির বিবককে নাড়িয়ে দেয়।এসব ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশেব্যাপী স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ,বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

    সকলের একটায় দাবি ধর্ষণ মুক্ত সমাজ,ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২০