ধর্ষকদের জন্য আ.লীগের দরজা চিরতরে বন্ধ: কাদের
দিগন্ত নিউজ ঢাকা- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ধর্ষণ নারী নির্যাতনের সাথে যদি আওয়ামী লীগের অথবা অঙ্গসংগঠনের কেউ জড়িত থাকে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে।
রোববার (২৫ অক্টোবর) নোয়াখালীর নিজ নির্বাচনী এলাকার বসুরহাট ও কবিরহাটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
তিনি বলেন, ধর্ষণ নারী নির্যাতনকারীদের দল থেকে শুধু বের করেই দেয়া হবেনা তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ। আমরা কারও প্রতিপক্ষ নই। আমরা প্রতিবেশি, আমরা একে অপরের সহমর্মী। একই দেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সংবিধানে আপনার যে অধিকার-আমারও সেই অধিকার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংখ্যালঘু বলে আপনারা নিজেদের দুর্বল ভাববেন না। এদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প তারাই ছড়ায়, যারা আবহমান কাল থেকে এদেশে চর্চিত সম্প্রীতির বীজতলা নষ্ট করতে চায়। কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করে সাম্প্রদায়িক দূরত্ব বাড়িয়ে দিতে চায়। আমাদের বরাবরের মতো সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দুর্বল হয়েছে কিন্তু নির্মূল হয়নি। তাদের শব্দহীনতা কিংবা আড়ালে থাকা শক্তি সঞ্চয়ের কৌশলও হতে পারে।
এ সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যাচার বা উস্কানিমূলক পোস্ট না দেয়ার জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে ধর্মের অনুসারীই আমরা হই না কেন, প্রকৃত ধর্মানুশীলন মানুষের আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তোলে। ধর্মচর্চা মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে। অপরাধ এবং চিত্ত ও বিত্তের নেতিবাচক ভাবনা থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই আমি অপরাধ থেকে সুরক্ষা পেতে আত্মিক শক্তি জোরদারে নিজ নিজ ধর্মের মূলবাণী পাঠ ও চর্চার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং ধর্ম নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে, তাদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে।
প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২০