• সর্বশেষ আপডেট

    উদ্বোধনের আগেই সেতুতে ফাটল। পারাপারে রয়েছে ঝুঁকি।


    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় উদ্বোধনের আগেই নয়া খালের ওপর নির্মিত এক সেতুর স্প্যানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটলের অংশে পলেস্তার খসে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। খালের স্রোতের কারণে সেতুটি যেকোনো সময় ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

    এ অবস্থায় প্রশাসন সেতুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শহীদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্বে ছিল গৌরীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি নির্মাণের সময় তদারকির অভাব ছিল। এ কারণে নির্মাণের পরই সেতুটির স্প্যানে ফাটল দেখা দিয়েছে।

    প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সেতু নির্মাণ করতে বরাদ্দ দেয়। উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামে নয়া খালের ওপর নির্মিত এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৬ ফুট। এর নির্মাণে ব্যয় ৩২ লাখ ৪১ হাজার টাকা। গত আগস্টে এর কাজ শেষ হয়। তবে কাজ শেষ হওয়ার পরপর সেতুতে ফাটল ধরায় সেটি আর উদ্বোধন করা হয়নি।
    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, সম্প্রতি একটি সভা করে সেতুটিকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বলা হয়, সেতুটির দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় ও খালের পানির স্রোতের কারণে এটিতে ফাটল ধরায় তা বাতিল করা হয়েছে।

    উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামে নয়া খালের ওপর নির্মিত এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৬ ফুট। নির্মাণে ব্যয় ৩২ লাখ ৪১ হাজার টাকা।প্রথম আলো

    সোহেল রানা আরও বলেন, সেতুটি বাতিল করা হলেও সরকারি বরাদ্দের কোনো টাকা এর পেছনে ব্যয় হবে না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর ভর্তুকি দেবে। বাতিল করা সেতুর জন্য ঠিকাদারকে টাকা দেওয়া হবে না। কাছাকাছি স্থানে বেশি দৈঘের্যর নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে কাজ শুরু হবে।

    সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শহীদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, খালে স্রোত বেশি হওয়ায় সেতুটি ভেঙে গেছে বলে জেনেছেন। তবে নতুন সেতু নির্মাণ হলে তাঁদের ভর্তুকি দিতে হবে কি না, সেটি তাঁর জানা নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কোনাপাড়া ও বায়রাউড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নয়া খালের ওপর এ সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হলে দুই গ্রামের মানুষ খুশি হয়েছিল। তবে কাজের সময় কোনো তদারকি হয়নি। খালের প্রস্থের তুলনায় সেতুটির দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এ ফাটল ধরেছে। পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে গেছে।

    জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, নির্মাণের পর সেতু বাতিল হওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে তাঁকে এখনো জানানো হয়নি। তবে তিনি খবরটি শুনেছেন। বাতিল হওয়ায় ঠিকাদারকে সে খরচ ভর্তুকি দিতে হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। তবে ঠিকাদার চাইলে করে দিতে পারেন।

    প্রকাশিত: শুক্রবার ১১, সেপ্টেম্বার ২০২০