• সর্বশেষ আপডেট

    রাসেল হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলো ইমরান মন্ডল!

    মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, গাজীপুরঃ- " আমারে তোরা মারিস না ভাই, আমারে ছাইড়া দে, আমি মইরা গেলে কে আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করবে?"  এমন আকুতি করেও ঘাতকদের মনগলাতে পারলো না রাসেল রানা! তাকে মেরেই ফেললো!

    মোবাইল ফোনের আলো জ্বেলে  নির্জন স্থানে নিয়ে প্রথম দফায় রাসেল রানাকে পেটায় ইমরান মণ্ডল ও তার সহযোগীরা। পেটানোর একপর্যায়ে রাসেল ক্লান্ত হয়ে গেলে বিষয়টি ফোনে ইয়াবার ডিলার হিংকন মাঝিকে জানায় ইমরান। অপর প্রান্ত থেকে হিংকন মাঝি তার সুবিধাজনক স্থানে রাসেলকে পৌঁছে দিতে বলে। কথা মতো রাসেলকে খালের পাড়ে নিয়ে হিংকন মাঝি ও তার সঙ্গীদের হাতে তুলে দেয় ইমরান।

    দ্বিতীয় দফায় হিংকন মাঝির নেতৃত্বে চলে নির্যাতন। লোহার রড দিয়ে পেটাতে পেটাতে হত্যা করা হয় রাসেলকে। বুধবার আদালতে শ্রীপুরের সিংদিঘী গ্রামের  রাসেল রানাকে হত্যার এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে ইমরান মণ্ডল।

    গাজীপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুন নাহার ১৬৪ ধারায় ইমরানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

    শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের সিংদিঘী গ্রামের সুজন আলীর ছেলে ও বারতোপা শিশু কানন বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক রাসেলকে গত শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়।

    শ্রীপুর থানার ওসি (অপারেশন) গোলাম সারোয়ার জানান, এ হত্যাকাণ্ড ইমরান একা পরিচালনা করেনি। পর্যায়ক্রমে দুটি টিম কাজ করেছে।
    বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে প্রথম দফায় ইমরান মণ্ডল ও তার বন্ধুরা পেটায় রাসেলকে,এতে রাসেল গুরুতর আহত হন।

    দ্বিতীয় দফায় ইয়াবার ডিলার শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচালা গ্রামের গিয়াস মাঝির ছেলে হিংকন মাঝির নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

    প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার ১০, সেপ্টেম্বার ২০২০