• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    প্রায় ১০০ বছর সাবরেজিষ্ট্রী অফিসের দুরাবস্থা-বৃষ্টিতে ভিজে, ভাঙ্গা ঘরেই চলে অফিসের ঢিলেঢালা কার্যক্রম

    কলাপাড়ায় সাবরেজিষ্ট্রী অফিসের বয়স প্রায় ১০০ বছর, তবুও দুরাবস্থা-টানাপোড়ন, বৃষ্টিতে ভিজে, ভাঙ্গা ঘরেই চলে অফিসের ঢিলেঢালা কার্যক্রম।

    রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া-পটুয়াখালীঃ-   কলাপাড়ায় সাবরেজিষ্ট্রী অফিসের প্রতিষ্ঠার প্রায় ১০০ বছরেও  দুর্দশা কাটেনি। বর্ষা মৌসুমে সাবরেজিষ্ট্রী অফিস চলছে এখন বৃষ্টিতে ভিজে জবুথবু অবস্থায়। ভূমি অফিসের পরিত্যক্ত দু’কক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ঘরের টিনের চালের ছিদ্র থেকে প্রতিদিন বর্ষার পানি পড়ে সবকিছু ভিজে একাকার। শীত মৌসুমেও টিনের চাল থেকে পড়া শিশির ফোটায় ভিজে যায় টেবিলে থাকা দলিল পত্র।
    সরকারী অফিসের এমন দৃশ্য দীর্ঘদিন ধরে দৃশ্যমান হলেও অদ্যবধি পাল্টায়নি এ চিত্র। ৮ বছর আগে রেজিষ্ট্রী অফিসের নিজস্ব ভবন নির্মানে পুরাতন আদালত ভবন সংলগ্ন এলাকায় ০.৩৩ একর জমি অধিগ্রহনের কাজ সম্পন্ন করে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হলেও দরপত্র আহবান করা হয়নি আজও। এমন দুর্ভোগ নিয়ে সাবরেজিষ্ট্রারের মন্তব্য দুর্ভোগের এ চিত্র পত্রিকায় এলেও কিছুই হবেনা বলে দু:খ প্রকাশ করেন এ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

    সাবরেজিষ্ট্রী অফিস সূত্রে জানা যায়, এই অফিসটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৪ সালে। প্রতিষ্ঠা কাল থেকেই অফিসটি চলছে সরকারী বিভিন্ন অফিসের পরিত্যক্ত ভবনে। এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে পরিত্যক্ত পুরাতন আদালত ভবনের একটি কক্ষে। সেখান থেকে এটি স্থানান্তর হয় পুরাতন হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবনে। পুরাতন হাসপাতাল ভবনের দোতলার সিঁড়ির উপরের ছাদ ধ্বসের পর এটি ফের স্থানান্তর করা হয় ভূমি অফিসের পরিত্যক্ত দু’টি টিনশেড কক্ষে। আর ভবন ধ্বসের ঝূঁকির মধ্যে পুরাতন হাসপাতালের নীচতলায় থাকে রেকর্ড রুম ও নকল নবিশদের অফিস রুম। এভাবে শুরু থেকেই পরগাছা হয়ে চলছে  সাব রেজিষ্ট্রী অফিস।
    সূত্রটি আরও জানায়, কলাপাড়া সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে বর্তমানে ১জন সাবরেজিষ্ট্রার, ১জন অফিস সহকারী, ২জন মোহরার, ১জন টিসি মোহরার, ১জন অফিস সহায়ক ও ২জন দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ষ্টাফ রয়েছেন। এছাড়া ২৫জন নকল নবিশ মাষ্টার রোলে কর্মরত রয়েছেন। বর্ষা মৌসুমে পরিত্যক্ত টিন শেড ঘরে কাক ভেজা হয়ে ও পুরাতন হাসপাতাল ভবন ধ্বসের আতংক নিয়ে নকল নবিশরা অফিস করছেন।

    সরেজমিনে সাবরেজিষ্ট্রী অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিস সহায়ক হামিদ উল্লাহ তার টেবিল পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন বর্ষার পানি থেকে কাগজ পত্র রক্ষার জন্য। ১জন মোহরার বৈদ্যুতিক ফ্যানের বাতাসে ভিজে যাওয়া দলিল শুকাচ্ছেন। অফিস কক্ষের মেঝেতে টিনের চালের ছিদ্র দিয়ে পড়ছে বর্ষার পানি। এসময় অফিস সহায়ক হামিদ উল্লাহ বলেন, ভাই আমাদের এ অবস্থার কথা কি একটু লিখবেন, যদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটু সহানুভূতি হয় আমাদের অবস্থা জেনে।

    কলাপাড়া সাবরেজিষ্ট্রার কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, কলাপাড়ায় যোগদানের পর থেকে এমন দুর্ভোগের সাথে ষ্টাফদের নিয়ে অফিস করছি। দুর্ভোগের এ চিত্র পত্রিকায় এলেও কিছুই হবেনা। পত্রিকায় এর আগেও এসেছে, কিছুই হয়নি।

    প্রকাশিত: শনিবার ৮, অগাস্ট ২০২০