• সর্বশেষ আপডেট

    মহিপুর মৎস্যবন্দরে প্রকাশ্যে ’মিনি ক্যাসিনো’র ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল, তোলপাড় সর্বোমহলে

    রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া-পটুয়াখালীঃ- মহিপুর মৎস্যবন্দরে প্রকাশ্যে চলছে ’মিনি ক্যাসিনো’। প্রতিদিনই গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ মিনি ক্যাসিনো। মৎস্যবন্দরেরআড়ৎপট্রি’র পশ্চিম দিকে পুরাতন ফরেষ্ট অফিস এলাকায় তাবুটনিয়ে মৎস্য শ্রমিক ও জেলেদের টার্গেট করে চলছে এ ক্যাসিনো,যা স্থানীয় ভাষায় বলা হচ্ছে লটারী’র জুয়া।

    এ সংক্রান্ত একটিভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন সচেতন নাগরিকআপলোড করে এটি বন্ধে ষ্ট্যাটাস দেয়ার পর এ নিয়ে পুলিশপ্রশাসনের বক্তব্য ভিডিওটি তাঁদের দৃষ্টি গোচর হয়নি। এখনইখোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহিপুর থানা থেকে ৪শ’ফুট দূরত্বে মৎস্যবন্দরের শিববাড়িয়া নদীর তীরে (থানার সামনের চাদোকানী আম্বিয়া’র পুত্র) রিপন (২৮) নামের এক যুবকপার্শ্ববর্তী তালতলি উপজেলার ক’জুয়াড়ীকে নিয়ে স্থানীয়প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে এ মিনি ক্যাসিনোবা লটারী জুয়া চালিয়ে আসছে।
    মিনি ক্যাসিনো’র এক একটিলটারী বিক্রী হচ্ছে ৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। যাতে পাওয়া যাচ্ছেআকর্ষনীয় প্লাষ্টিক ও কাঁচের বিভিন্ন সামগ্রীসহ মোবাইলপর্যন্ত। কালে ভদ্রে দু’চার জনকে বিভিন্ন সামগ্রী পেতে দেখাগেলেও মোবাইলসহ দামী উপকরন পেতে দেখা যায়নি কাউকে। আরএভাবে সর্বশান্ত হচ্ছে গরীব জেলেরা ও এলাকার যুব সমাজ। যা থেকেপ্রতিদিন আয় হচ্ছে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মিনিক্যাসিনো’র এ আয় থেকে মাসোয়ারা পাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনসহকতিপয় ব্যক্তিবর্গ। এতে মৎস্যবন্দরের সচেতন নাগরিকরা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই মিনি ক্যাসিনো’র ভিডিওক্লিপ আপলোড করে তা বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষনের পরও বন্ধহচ্ছেনা এ জুয়া।

    মহিপুর মৎস্যবন্দরের সচেতন নাগরিক এস আলম বলেন, মহিপুর আইনশৃংখলা কমিটির সভায় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি’র উপস্থিতিতে এরআগে এই জুয়া নিয়ে কথা বলার পর কিছুদিন এটি বন্ধ ছিল। বর্তমানে প্রশাসনের নাকের ডগায় নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে এমিনি ক্যাসিনো। এতে গরীব জেলেরা ও এলাকার যুব সমাজসর্বশান্ত হলেও মাসোয়ারা পাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনসহ কতিপয়ব্যক্তিবর্গ। তাই এটি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শীঘ্র পদক্ষেপগ্রহনের দাবী জানান।

    তিনি বলেন, একজন সচেতন নাগরিকহিসেবে এ জুয়া বন্ধে আমার ফেসবুকে এর ভিডিও আপলোড করেষ্ট্যাটাস দিয়েছি।মহিপুর মৎস্যবন্দরের আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি ফজলু গাজীবলেন,গত এক সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে এ জুয়া চলছে। এটি বন্ধে মহিপুরথানাকে অবগত করা হলেও তাদের টনক নড়েনি।এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোন সংবাদ জানানেই, তবে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মেদ আলী বলেন, এধরনের কোন ইনফরমেশন জানা নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়নি, খোঁজনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    প্রকাশিত: সোমবার ১০, অগাস্ট ২০২০