• সর্বশেষ আপডেট

    কুয়াকাটা সৈকতে ঈদুলআযহা উপলক্ষে দেশী-বিদেশী হাজারো পর্যটকের আনাগোনা

    রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া-পটুয়াখালীঃ- কুয়াকাটায় সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য অবলোকনসহ সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর উম্মাদনা ভ্রমণের নতুন এক অনুভূতি।  করোনা ভাইরাসের ভয়কে জয় করে পবিত্র ঈদুলআযহার দীর্ঘ ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে দেশী-বিদেশী হাজারো পর্যটকদের ভীড়ে কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পর আবারো উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

    ঈদুলআযহায় কুয়াকাটায় বিশেষভাবে সৈকতে বেড়াতে এসেছে পর্যটক সোমালিয়া থেকে । আগত পর্যটকরা জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতেই তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। এখানকার সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করেছে। কুয়াকাটা এমন একটি সমুদ্র সৈকত যেখানে বার বার আসতে ইচ্ছে করবে অবসর পেলেই এমনটাই অভিমত পর্যটকদের।   

    সরেজমিনে সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে তাল মিলিয়ে নেচে গেয়ে সমুদ্রে গোসল, হৈ হুল্লোড়, খেলাধুলা আনন্দের সীমা নেই পর্যটকদের মাঝে। কুয়াকাটার লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইনদের তাতঁ পল্লী, আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরসহ দর্শনীয় স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গেছে। রাতে সৈকতে জোসনার আলোয় সমুদ্রের ঢেউ আর ঢেউয়ের গর্জন আর এক অন্যরকম অনুভূতি মন ছুয়ে যায়। এছাড়া রাতে সৈকতের কোলঘেঁষে অবস্থিত মুখরোচক খাবার কাকড়াফ্রাইসহ বিভিন্ন প্রকার সমুদ্রের মাছ ফ্রাই খাওয়ার স্বাদই আলাদা। এমন মুখরোচক স্বাদ পর্যটকদের বার বার কুয়াকাটার কথা স্বরণ করিয়ে দেবে বলে মনে করেন ভ্রমণ পিপাসুরা।


    পর্যটক এক দম্পত্তি বলেন, নিজের দেশকে ঘুরে দেখার সূযোগ পেয়েছেন এই ঈদে। কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এখানকার মানুষজন তাদের খুবই ভালো লেগেছে। কুয়াকাটার প্রেমে পরে গেছেন তারা দুজন। তাই তারা বারবার কুয়াকাটা এসেছেন। তারা আরো বলেন, বিশ্বের অন্যতম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। পর্যটননগরী হিসেবে কুয়াকাটার সাথে সারা দেশের সড়ক ও নদী পথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে, বাড়ছে কুয়াকাটা পর্যটনের সক্ষমতা,  বাড়ছে এখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কুয়াকাটাকে ঘিরে সূদুর প্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পণা গ্রহণ করেছে সরকার। তবে এখানকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও অনুন্নত থাকায় এখানকার দর্শনীয় স্পটগুলো দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পর্যটকরা। খুলনা থেকে আসা আরেক পর্যটক বলেন, কুয়াকাটার হোটেলগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে।  দুই বছর পূর্বে একবার এসেছিলাম তখনকার চেয়ে এখনকার পরিবেশ অনেকটা সন্তোষজনক।

    উল্লেখ্য, এবছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকশুন্য হয়ে পরেছিলো। ১ জুলাই পর্যটনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আনুষ্টানিকভাবে খুলে দেয়ার পর  ঈদুলআযহায় পর্যটকদের ভীড় বাড়তে শুরু করে। ঈদের প্রথম দিন থেকেই কুয়াকাটায় শতশত পর্যটক আসতে শুরু করে। আবাসিক হোটেলগুলো মোটামুটি বুকিং হয়েছে।

    কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যটন ব্যবসা বন্ধ থাকার পর ঈদুলআযহায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক এসেছে। অনেক পর্যটকরাই অগ্রিম হোটেল বুকিং দিচ্ছেন। এভাবে পর্যটকদের আসা অব্যাহত থাকলে মন্দাভাব কেটে যাবে। তিনি আরও বলেন, কুয়াকাটার প্রত্যকটি হোটেল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। তাই এখানে করোনার ভয় কম।

    প্রকাশিত: সোমবার ৩, অগাস্ট ২০২০