• সর্বশেষ আপডেট

    কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় একজন ব্যক্তির জেদের কারনে বালাচর রামরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতির সম্মুখীন।

    মাসুদ রানা, রাজারহাট-কুড়িগ্রামঃ- কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় সরকারি অর্থে নির্মিত একটি ব্রীজের মুখ জনৈক এক ব্যাক্তি ইট সিমেন্ট দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে রাখায় এলাকার স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। ফলে সাম্প্রতিক বন্যার পানি উপচে পার্শ্ববর্তী বালাচর রামরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের উপর দিয়ে প্রচন্ড বেগে পানি প্রবাহিত হয়। অস্বাভাবিক স্রোতের কারনে সমগ্র মাঠটিতে প্রায় ৪ ফিট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। রোববার দুপুরে বিদ্যালয়টিতে গেলে এ দৃশ্য দেখা যায়।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সরকারি অর্থে অনেক আগে সেখানে একটি ব্রীজ নির্মান করে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি ব্রীজটির পানি নিষ্কাশনের পথ ইট ও সিমেন্ট দিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় বন্যার সময় পানি বাধাগ্রস্ত হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিসহ আশপাশের অনেক মানুষের অনেক ঘর বাড়ির উপর দিয়ে তীব্র বেগে পানি যায়।

    শুধু তাই নয় পানির তীব্র স্রোতে গভীর গর্তের সৃষ্টি হলে বিদ্যালয়টির মাঠের গাছের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে শতবর্ষী পাকুড়ের গাছ বিদ্যালয়ের উপর উপড়ে পড়ে। গভীর গর্ত এবং গাছপড়ে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা হওয়ায় কার্যতঃ এখন বিদ্যালয়টি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় মাঠের উপর দিয়ে পানির তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয়টির নতুন বিল্ডিং ও পুরাতন টিনশেড ভবনের অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

    বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম জানান, একজন ব্যক্তির জেদের কারণে আজ সরকারি প্রতিষ্ঠানটির অস্বাভাবিক পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেল। বিদ্যালয় ভবনের চারদিকের মাটি সরে গেছে ভবনের মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছে মাঠ ভরাট করতে না পারলে এখানে বাচ্চাদের নিয়ে আসা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

    তিনি আরো জানান, ব্রিজের মুখ বন্ধ করে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থাপনা কমিটি উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমিকে মৌখিকভাবে জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি।

    স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান কর্তৃপক্ষ ব্রীজটির মুখ খুলে দেয়ার জন্য হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিলেও এ ব্যাপারে তিনি ছিলেন পুরোপুরি নির্বিকার। চেয়ারম্যানের সাথে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

    প্রকাশিত: সোমবার ৩১, অগাস্ট ২০২০