• সর্বশেষ আপডেট

    রাজারহাট ক্ষতিগ্রস্থ বাধ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার


    মাসুদ রানা,রাজারহাট: আজ দুপুর ১২:০০টায় রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নূরে তাসনিম বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে গাবুর হেলান ক্রোসবাধ ও ঘড়িয়াল ডাঙ্গার বুড়িরহাট ক্রোসবাধ পরিদর্শন করেন। গেল কয়েকদিন লাগাতার ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করায় তীব্র বন্যা দেখা দেয়।বন্যার পানি কমে যাওয়ায় উপজেলার বিদ্যানন্দের গাবুর হেলান ক্রোসবাধ টি তিস্তা নদীর প্রবল স্রোতের ধাক্কায় ভাঙ্গতে শুরু করে,ভাঙ্গন ঠেকাতে ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম পাউবির এসডি মাহমুদ হাসানের উপস্থিতি তে ৮শত জিও ব্যগ বালু ভর্তি বস্তা ক্রোসবাধে ফেলানো হয়।এতেও ভাঙ্গন ঠেকানো দূরহ হয়ে পড়লে আরও এক হাজার জিও ব্যাগ ফেলানোর প্রস্তুতি চলছে।ইতিমধ্যে গাবুর হেলান ক্রোসবারে পাশে ৪টি বাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে,স্থানীয় বাসিন্দা ফৈজুর রহমান বলেন এই বাধ রক্ষা করা না গেলে ৩টি গ্রামের প্রায় ২শত বসতবাড়ী তিস্তা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে।এদিকে ঘড়িয়াল ডাঙ্গার বুড়িরহাট ক্রোসবাধ টির ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য ৪হাজার জিওব্যাগ ফেলানো হলেও তিস্তার প্রবল স্রোতের কারনে বাধটি রক্ষা করা যায়নি,পুরা বাধটি নদী গর্ভে চলে গেছে।বাধ টি প্রধান বাধ হওয়ায় হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৭০০/৮০০ পরিবার।স্থানীয় বাসিন্দারা দাবী করেন দীর্ঘ স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করে টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করা না হলে কোনভাবেই নদী ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব না।এতে করে পুরো ইউনিয়ন তিস্তানদীর গর্ভে চলে যাবে।এব্যাপারে রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন বাধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বাধ রক্ষায় কুড়িগ্রাম পাউবির কর্মকর্তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছি।পাউবির এসডি মাহমুদ হাসান বলেন বুড়িরহাট ক্রোসবাধ ও গাবুর হেলান ক্রোসবাধ রক্ষায় দিনরাত উপস্থিত থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২১ জুলাই, ২০২০