• সর্বশেষ আপডেট

    বুড়িরহাট স্পার বাঁধের সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

    উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র সরেজমিন পরিদর্শন রাজারহাটে বুড়িরহাট স্পার বাঁধের সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন, গাবুরহেলানে ক্রস বাঁধের সামনের অংশ নদীগর্ভে


    মাসুদ রানা, রাজারহাট-কুড়িগ্রামঃ-   কুড়িগ্রামেররাজারহাটে তিস্তা নদীতে   উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষনেপানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্্েরাতের কারনে নদীর বাম তীর রক্ষা বাঁধের সংযোগসড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া একটি ক্রস বাঁধের সামনের অংশ প্রায়২০ফিট নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

    ফলে হুমকীর সম্মুখীন হয়ে পড়েছে তিনটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের সহস্রাধিক বাড়িঘর, ফসলি জমি, বুড়িরহাটবাজার, গাবুর হেলান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তৈয়বখাঁ সরকারী প্রাথমিকবিদ্যালয় ও আশ্রয়ন ভবন, কালিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঝাপাড়াবালিকা মাদ্রাসা, বুড়িরহাট মসজিদ, বুড়িরহাট স্পার বাঁধ, তৈয়বখাঁগ্রামের তিনটি মন্দির সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    জানা গেছে, আকস্মিকভাবে তিস্তা নদীর ভাঁঙ্গনের কবলে পড়েছে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্পারবাঁধ। তিস্তা নদীর বাম তীর ঘেষে প্রবাহিত তীব্র স্রোত সরাসরি এই স্পারে এসেধাক্কা খেয়ে   ঘুর্নাবর্তের সৃষ্টি  করছে। এতে করে এই  ঘুর্ণাবর্তে তল  দেশেরমাটি তুলে আনছে উপরে। বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ও  সিনথেটিক  ব্যাগ  ফেলেস্পারটি রক্ষার চেষ্টা চললেও শেষ অবধি কোন লাভ হয়নি। গত ৩দিনে বাঁধের সংযোগসড়কটির প্রায় ৩০/৩৫ফিট জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

    এছাড়া যেকোন মহুুর্তে স্পারটি ভেঁঙ্গে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তিস্তা নদীর বামতীরের ড়িয়ালডাঁঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বুড়িরহাট,খিতাবখাঁ ওগতিয়াশাম,চরবিদ্যানন্দ, গাবুর হেলান,  রামহরি,  চতুরা, তৈয়ব খাঁ, কালির মেলা, তৈয়বখাঁ, চতুরা সহ ১৫টি গ্রাম নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য প্রায় ৩কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ২০বছর পূর্বে ১৫০মিটার সলিড স্পারটি নির্মাণ করাহয়েছিল।

    এদিকে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুর হেলান গ্রামে তিস্তা নদীরক্ষার ক্রস বাঁধটির সামনের অংশ ভাঁঙ্গনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে বাঁধটিরসামনের দিকে প্রায় ২০ফিট জায়গা নদী গর্ভে চলে গেছে। বাঁধটি রক্ষার জন্যগত কয়েকদিনে প্রায় ২হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও কোন কাজ হয়নি। বুধবার রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল হরাওয়ার্দীবাপ্পী ও  উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা  নুরে-তাসনিম সরেজমিনে  বুড়িরহাটস্পার বাঁধ ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

    কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, “বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে ডাংরার দিকে যে এলাাকাগুলো আছে সবগুলো এলাকানদী ভাঁঙ্গনের কবলে পড়বে এবং মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। পাশাপাশি অন্যান্য এলাকায়বিশেষ করে আমাদের কালির হাট, বিদ্যানন্দ এবং আরো কিছু এলাকা আছে, যেগুলো এলাকায় নদী ভাঙ্গন আছে, আমরা এগুলোতে জিও ব্যাগ ডাম্বিং করে ভাঁঙ্গন রোধেব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। আশা করি বালি ভর্তিজিও ব্যাগ ফেলতে পারলে নদী ভাঁঙ্গন রোধ হবে এবং মানুষ নদী ভাঁঙ্গনের হাত রক্ষাপাবে”।

    প্রকাশিত: বুধবার ২২ জুলাই, ২০২০