• সর্বশেষ আপডেট

    বাগমারায় এমপি’র নিদের্শনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ

    মুকুল হোসেন, বাগমারা-রাজশাহীঃ- রাজশাহীর বাগমারায় উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। প্রবল বন্যার স্রোতে রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে এ বছর উপজেলার সোনাডাঙ্গা, দ্বীপপুর, নরদাশ এবং কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নে বেশি ক্ষয়ক্ষতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

    নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিবনদীর টেংরা নামক স্থানের বাঁধ কেটে দেয়ার ফলে সরাসরি বাগমারায় প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো বাগমারাবাসীও পড়েছে বন্যার কবলে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। এর ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। তবে কয়েক দিন অতিবাহিত হওয়ায় বন্যার পানির চাপ কিছুটা কমেছে। বন্যার পানিতে এরই মধ্যে নষ্ট হয়েছে গেছে কাঁচা-পাকা অনেক রাস্তাঘাট। ফলে যান চলাচল সহ লোকজন চলাচলে পড়তে হচ্ছে অনেক সমস্যায়।

    বন্যার কারনে যাদের বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছিল তাদের অনেকেই উচুঁ এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল। পানি কমার সাথে সাথে এদের অনেকেই নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। এদিকে বন্যায় যে সকল রাস্তা ব্যাপক হারে ভেঙ্গে চলাচল অনুপযোগী হয়ে গেছে পানি কমে গেলেই জরুরী ভিত্তিতে সেগুলো সংস্কার করতে হবে।

    বন্যার শুরু থেকে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দকে জনগণের পাশে থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

    তার সেই নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিদিনই বন্যার্তদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। শনিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১ টায় উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নেন উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু।

    এ সময় তার সাথে ছিলেন, সাংসদের প্রেস সচিব প্রভাষক জিল্লুর রহমান, সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাহারুল হক, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আব্দুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল, প্রচার সম্পাদক শাহাদত হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মিনহাজ, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সদস্য সুলতান মাহমুদ মানিক, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেজানুর রহমান সেজান, উপ-মানব কল্যাণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মহিবুজ্জামান রিমু, সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন প্রমূখ।

    গত বৃহস্পতিবার রাত ২ টার দিকে দ্বীপপুর ইউনিয়নের জুলাপাড়া হাট এলাকার প্রধান রাস্তা ভেঙ্গে ব্যাপক গতি নিয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রবল পানির চাপে একই ইউনিয়নের নানসর ব্রীজ সংলগ্ন খালের একটি বাঁধে ৭-৮ ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। ফলে এলাকার ঘরবাড়ি রক্ষায় স্থানীয়রা সেই বাঁধটি কেটে দেয়। সেই সাথে কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের ঢেকরতলা ব্রীজের নিচে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে মাছ চাষ করছিল স্থানীয় লোকজন। ওই বিলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছ চাষের জন্য দেয়া বাঁধটি ভেঙ্গে বিপদ সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল। বর্তমানে ওই সকল এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে উপজেলায় বন্যার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

    এদিকে বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, বন্যার কারনে উপজেলাবাসী যেন সমস্যায় না পড়েন সে জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দকে সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে জেলা প্রশাসকসহ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। বন্যার কারনে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যেন সব রকমের সহযোগিতা পাই সে কথাও বলা হয়েছে।

    প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০২০