• সর্বশেষ আপডেট

    কলাপাড়ায় কৃষকের জন্য বরাদ্দ প্রনোদনা ঋন বিতরনে দুর্নীতি ও অনিয়মের

    সরকারিভালো উদ্দ্যেগ ভেস্তে যেতে বসেছে , কলাপাড়ায় কৃষকের জন্য বরাদ্দ প্রনোদনা ঋন বিতরনে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারনে।


    রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া-পটুয়াখালীঃ- কলাপাড়ায় দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কৃষিখাতের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারের শতকরা ৪টাকা সুদের ঋন বিতরনে।

    উপজেলা কৃষি বিভাগের সাথে তফসিলীব্যাংক গুলোর সমন্বয়হীনতা, কৃষি ঋন বিতরনে বেসরকারী ব্যাংকগুলোর অনাগ্রহ, প্রকৃত কৃষকের ঋন পেতে হয়রানী, ব্যাংকে দালালপ্রবনতা, কৃষি বিভাগের যথাযথ তদারকির অভাব, জনগুরুত্বপূর্নস্থানে কৃষি প্রনোদনার ঋন বিতরনের ব্যানার না টানানো, কৃষিকর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র ছাড়াই ঋন বিতরন কৃষি প্রনোদনার এ ঋনবিতরনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

    নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, তফসিলী বেসরকারী ব্যাংকগুলোউপকূলীয় এলাকার কৃষি উৎপাদনকে সচল রাখতে কোন কৃষককে এপর্যন্ত শতকরা ৪টা সুদের বিশেষ প্রনোদনার এ ঋন বিতরন করেনি।এনিয়ে তাদের কোন জবাবদিহিতাও নেই। এমনকি রাষ্ট্রায়াত্তব্যাংকগুলো দালাল নির্ভর হয়ে কৃষি বিভাগের প্রত্যয়ন ছাড়াই লক্ষ লক্ষটাকা বিতরন করছে।

    এতে প্রকৃত কৃষকরা সরকারের এ সুবিধা থেকেবঞ্চিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমনকি গত কয়েক বছরে কৃষকের স্বার্থরক্ষায় গঠিত উপজেলা কৃষি কমিটির সভা কাগজে কলমে অনুষ্ঠিতহলেও বাস্তবে কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়া কৃষিকে সচল রাখতেপানি ওঠা নামার অন্তত: ৩০০ স্লুইস কৃষকের স্বার্থ ভুলুন্ঠিত করেপ্রভাবশালীদের মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় কৃষি ব্যবস্থা হুমকীরমুখে পড়েছে।

    রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নভেল করোনা ভাইরাস এরপ্রাদুর্ভাবে কৃষি খাতের জন্য ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার প্রনোদনার আওতায় শষ্যঋন ব্যতীত কৃষির অন্যান্য খাতে বিতরনের জন্য বরিশাল বিভাগে ১১৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতেশষ্য ও ফসল খাতে শতকরা ৪ টাকা রেয়াতি সুদ হারে কৃষকের মাঝে ঋনবিতরনের জন্য বলা হয়েছে। যার মেয়াদ ১এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০জুন২০২১। কৃষককে ধান, গম, দানা শষ্য, অর্থকরী ফসল, শাক সবজি ওকন্দাল ফসল চাষের ক্ষেত্রে এ প্রনোদনা দেয়া হবে। এতে ব্যাংক গুলোশতকরা ৫টাকা হারে সুদ-ক্ষতি পুনর্ভরন সুবিধা পাবে।

    এছাড়া মৎস্য ও প্রানী সম্পদ খাতেও চাষীর জন্য ৪ টাকা রেয়াতি সুদ হারেঋন গ্রহনের সুযোগ রয়েছে। অপরদিকে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সম্পৃক্ততায় ’কৃষি খাতেবিশেষ প্রনোদনামূলক পুন:অর্থায়ন স্কীম’ বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষথেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে-উপজেলা কৃষিঅফিস বিশেষ প্রনোদনার এ স্কীম বাস্তবায়নে তফসিলীব্যাংকসমূহকে বহুল প্রচারের জন্য সহযোগীতা করবে এবংজনগুরুত্বপূর্ন স্থানে ঋন বিতরনের ব্যানার টানানো হয়েছে কিনাতা নিশ্চিত করবে।

    ঋন গ্রহনে আগ্রহী কৃষক প্রকৃত কৃষক কিনাতা সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনাক্ত করবেন।উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সুপারিশের প্রেক্ষিতে কৃষিকর্মকর্তা প্রত্যয়ন প্রদান করবেন। এরপর ঋন গ্রহনকারী কৃষকদেরতালিকা ব্যাংকসমূহ কৃষি অফিসে পাঠাবেন যাতে ঋনগ্রহনকারী কৃষকরা অফিস থেকে কৃষি সেবা পায়। কৃষি অফিসকৃষকদের চাষাবাদের ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করবেন।

    কৃষি অফিসেরপ্রতিনিধি ঋন প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি উপকরন সহায়তা কার্ডেরব্যবহার অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রকৃত কৃষক ঋনপাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত করবেন। কৃষক যাতে ১০ টাকার ব্যাংকহিসাব খুলতে পারে এবং সে হিসাবের মাধ্যমে ঋন গ্রহন করতে পারেসে বিষয়ে কৃষক ও তফসিলী ব্যাংকের মধ্যে কৃষি বিভাগ সমন্বয়সাধন করবেন। কৃষক যাতে ঋন পেতে হয়রানীর স্বীকার না হয় এবংসহজে ঋন পায় কৃষি অফিস তা নিশ্চিত করবেন।

    ঋন গ্রহনের পর কৃষক শর্ত মোতাবেক ফসল বা প্রস্তাবিত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেনকিনা তা কৃষিবিভাগ তদারকি করবেন এবং তাদের যথাযথ পরামর্শপ্রদান করবেন। প্রতি মাসে তফসিলী ব্যাংক গুলো কি পরিমানপ্রনোদনার ঋন বিতরন করছে সে মর্মে কৃষি বিভাগকে অবহিতকরবেন। সে মোতাবেক কৃষিঅফিস ঋন গ্রহন ও বিতরনের অগ্রগতিপ্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরেরমহাপরিচালক বরাবরে প্রেরন করবেন।

    এদিকে কৃষিতে স্বনির্ভরতা অর্জনে দেশের এক ইঞ্চি চাষাবাদেরজমিও যাতে অনাবাদী না থাকে সেজন্য সরকারের এ নির্দেশনারছিটে ফোটারও দেখা মেলেনি বাস্তবে। শতকরা ৪টাকা হারের সরকারেরএ ঋন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কোন প্রচারনা নেই। মাঠ পর্যায়েরকরোনা ও ঘূর্নিঝড় আম্পান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে কথা বলেজানা গেছে অধিকাংশ কৃষক সরকারের বিশাল পরিসরের এ প্রনোদনারঋন সম্পর্কে এখনও অবগত নন। এমনকি সাধারন কৃষি ঋন পেতেউৎকোচ বিনিময়ে দালাল নির্ভর হয়ে ব্যাংকে না গেলে নানান রকম

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০