• সর্বশেষ আপডেট

    মহিপুরে সরকারী খাদ্যগুদামের জমি, অবৈধ দখলের উৎসবে পরিনত হয়েছে


    রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া-পটুয়াখালীঃ- মহিপুরে সরকারী খাদ্যগুদামের জমি অবৈধ দখল এবং  বিক্রির উৎসবেপরিনত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মহিপুর ইউনিযনের বিপিনপুর গ্রামেরইউনুস সিকদার কর্তৃক সরকারি খাদ্যগুদামের জমি অবৈধভাবে বিক্রি এবং অসহায় এক প্রতিবন্ধীর জমি দখল ও তার চলার পথ দখল করে বিক্রি করার অভিযোগ।

    প্রতিবন্ধী বাদশা মিয়া কলাপাডা উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ইউনুস সিকদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিবন্ধী বাদশা মিয়া ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালায়, নিজের কোন  জায়গা-জমি না থাকায় মহিপুরের ওয়াপদা রাস্তার বাহিরে  খাদায় মহিপুর বন্দরে গোডাউনের সামনে ঘড় তুলে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে।

    অভিযুক্ত ইউনুস সিকদার লোকজননিয়ে খোন্তা, কোদাল, ওড়াসহ তার বসত বাড়ির মধ্যে যোর পূর্বক প্রবেশকরে মাটি ?াট করে ভিটি তৈরি করা শুরু করলে সে তার পরিবারের লোকজননিয়ে বাধা দিলে  ইউনুস সিকদার জোরপূর্বক বাড়ি দখল করিয়া ভিটিতে ঘড় তোলার চেষ্টা করে। প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধী বাদশাকলাপাডা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেন। প্রতিবন্ধী বাদশা মিয়া আরো জানান, অভিযুক্ত ইউনুস সিকদারবর্তমানে খাদ্যগুদামের প্রায় দেড় একর  জায়গা দখল করে আছে এবং  অনেকেরকাছে দখলকৃত ১৫শতাংশ জমি বিক্রি করেছে, তার জায়গায়ও অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করতেছে।

    এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়ার কারনে তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও প্রাননাষের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত ইউনুসসিকাদার। স্থানীয় খালেক ফিটার জানান, তার বাসার দরজা এবং একমাত্র চলার পথ খাদ্যগুদামের সম্পত্তি ইউনুস বন্ধ করে দিয়ে তা দখল করে বিক্রি করে দেয়। অভিযুক্ত ইউনুছ সিকদার তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই জমি  সরকারীভাবে  বরাদ্ধকৃত  তার লিজ নামে আনা হয়েছে হাসের খামার করার জন্য এবং তিনি কোন সরকারি জমি বিক্রি করেননি তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্য ও ভিত্তিহীন।

    কলাপাড়া খাদ্যগুদামের উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান,অভিযোগ নেওয়া হয়েছে এবং সরেজমিনে গিয়ে তদন্কপূর্বক জড়িতদেরবিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    প্রকাশিত: শনিবার, ০৬ জুন, ২০২০