• সর্বশেষ আপডেট

    নোয়াখালী সেনবাগে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধসহ, আহত ৫


    মোঃ ইব্রাহিম, নোয়াখালীঃ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বালিয়াকান্দি গ্রামের গোফরান মেম্বারের বাড়িতে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ সহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন (৩৫) ও সোহাগ (২৬) এর নাম জানাগেলেও অন্যদের নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদের মধ্যে ইকবালকে প্রথমে সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

    জানাগেছে, উপজেলা ৮নং বীজবাগ ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের বালিয়াকান্দি গ্রামের সাবেক মেম্বার গোফরান মিয়ার মালিকীয় ও বাড়ির অন্যদের যৌথ মালিকানা দুইটি পুকুরের পাড় ভেঙ্গে একত্রিত হলে গোফরান মেম্বার কাউকে না জানিয়ে ওই পুকুরে মাছের পোনা ছেড়েছে বলে প্রচার করে পুকুরটি তার নিকট ইজারা দেওয়ার জন্য অন্যদের চাপ প্রযোগ করে। কিন্তু অন্য শরিকদাররা ইজারা দিবেনা বলে পুকুরে মাছ ধরে হিস্যা হিসাবে ভাগ করে নিয়ে যায় । কিন্তু গোফরান মেম্বার তার ভাগের অংশের মাছ নেয়নি।

    এরপর আজ সোমবার দুপুর ১টারদিকে গোফরান মেম্বারের নাতী রাহিম লোকজন নিয়ে ওই পুকুরে ভেড়জাল ফেলে মাছ ধরার চেষ্টা করলে বাড়ি অন্য শরিকদাররা বাঁধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় গোফরান মেম্বারের পক্ষের সোহাগ নামের একজনের মাথা পেটে যায়। পরবর্তীতে গোফরান মেম্বারের নাতী রাহিম পার্শ্ববর্তী সেবারহাট এলাকা থেকে লোকজন জড়ো করে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই বাড়ির আলী করিমের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক গুলি বর্ষণ করলে আলী করিমের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৫) গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় সস্ত্রস সন্ত্রাসীরা ইকবালের পিতা আলী করিমের বসতঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র , একটি মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাংচুর করে এবং লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে সেনবাগ থানার এসআই মোঃ আল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে ও গোফরান মেম্বারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা ।ঘটনায় জড়িতরা সকলে আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।


    প্রকাশিত: সোমবার, ০১ জুন, ২০২০