• সর্বশেষ আপডেট

    কুয়াকাটায় দিশেহারা পর্যটন নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা


    রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া-পটুয়াখালীঃ- ভয়াবহ ও মহামারি করোনা ভাইরাস ও আম্পানের প্রভাবে দিশে হারাকুয়াকাটার পর্যটন নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ব্যাপক ক্ষতিরসম্মুক্ষে হোটেল মোটেল, রেঁস্তোরা, হকার, বিচ ফটোগ্রাফার, ছাতাব্যবসায়ী, ছোট ছোট দোকানপাট, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট, ট্যুরিস্ট গাইড ও ট্যুর অপাটেরসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

    হোটেলমোটেলের তথ্য অনুসারে প্রতিবছর আভ্যন্তরিন পর্যটকদের সংখ্যাপ্রায় চারলক্ষ। কিন্তু এ বছরের মার্চ-জুন পর্যন্ত পর্যটকদের আগমনশুণ্যের কোঠায়। ফলে পর্যটন নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পথে বসেগেছে। ২০১৯ সালে পর্যটন ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখলেও ২০২০ সালে এসেপ্রায় ছয়শত কোটি টাকার লোকসান গুনছে।

    করোনার কারনে ক্ষুদ্রব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে পরিবারকে খাদ্যের যোগান দিত। কিন্তু ঘূর্নিঝড় আম্পানের কারনেক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান পাটগুলোর উপর তান্ডব চালিয়ে তচনচ করেদিয়েছে। প্রতিটি দোকান চূর্নবিচুর্ন হয়ে গেছে। ক্ষত বিক্ষতহয়েছে ব্যবসায়ীদের হৃদয়। এ যেন মড়ার উপর খঁড়ার ঘা।

    করোনারপ্রভাবে বেকার আর অলস সময় পার করে গচ্ছিত টাকা শেষ। প্রশ্নউঠেছে আদৌও কি তারা ফিরতে পারবে তাদের পুরোনো ব্যবসায় এমন হাজারো প্রশ্ন এখন তাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। স্থবির হয়ে গেছে ব্যবসায়ীরা। হোটেল মোটেলগুলো মৃত্যুর মতদাড়িয়ে আছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট খুলেমালামালগুলো ঠিক আছে কিনা দেখে নিচ্ছে। দোকান ভাড়া, কর্মচারিদের বেতন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। ছাটাইর পাশাপাশিকর্মচারীদের ছুটি দিয়ে দিছে।



    কেউ আবার ভিন্ন পেশা নিয়েভাবছে। দোকানে দোকানে হরেক রকমের মালামালের পশরা এখন শুধুইস্মৃতি। হকার আর বিচ ফটোগ্রাফাররা অলস সময় পার করছে। বিচপয়েন্টে ছাতাগুলো খালি পড়ে আছে। মাহিম ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারীমো. আনোয়ার বলেন, দোকান ভাড়াসহ কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছি।

    কবে যে শেষ হবে এমন বালা জানিনা। তবেকয়েকদিন পর পথে বসতে হবে। সাগরপাড়ের চা বিক্রেতা মো: কামাল বলেন, আগে চা সিগারেটবেচতাম ভালোই আয় হতো এহন দু বেলা ভাত জোডেনা। ফুসকাবিক্রেতা বনি আমিন বলেন, প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকারফুসকা বিক্রি করতাম করোনার কারনে বেচাকিনা নাই। কোন রকমবাইচ্চা আছি। ফুসকা আর বেচমুনা। বাহিরে কাজ করে সংসারচালাতে হবে।

    কনফিডেন্স ট্যুরিজম ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালকমো: সাইদুর রহমান বলেন, পর্যটকদের সেবা দিতে যারা ব্যস্ত ছিলতারাই আজ বেকার। অলস সময় পার করার ফলে দিনদিন কষ্ট দীর্ঘহচ্ছে। ট্যুর অপারেটর এ্যসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াকের)সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, দির্ঘদিন কুয়াকাটালকডাউন থাকার ফলে ট্যুরঅপারেটররা বেকার হয়ে পড়ছে সঞ্চিত টাকাশেষ।

    এখন প্রতিদিন কষ্ট করে দিন পার করতে হয়। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট সেন্টার ও ইলিশ পার্কের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, প্রতি মাসেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। বিপুল পরিমান ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অবশ্যই সরকারের সহযোগিতাপ্রয়োজন হবে। কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান বুলেট আকনবলেন, এ সকল ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারের সুদৃস্টি দেয়া উচিত। হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন'র সাধারন সম্পাদকমোতালেব শরীফ বলেন, হাজারো মানুষের জীবিকা ও অর্থনীতির চাকাসচল রাখতে উপায় খোজা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনসহ হোটেলমোটেলে'র মালিকরা মিলে।

    প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০