• সর্বশেষ আপডেট

    মহিপুরে প্রেমের টাণে ঘর ছাড়ে শারমিন ও সাগর অপহরণ নাটকের অবসান।

    শারমিনকে কেউ অপহরণ করেনি
    মহিপুরে প্রেমের টাণে ঘর ছাড়ে শারমিন ও সাগর অপহরণ নাটকের অবসান।

    রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া-পটুয়াখালীঃ- মহিপুরে শারমিন (১৬) অপহরনের রহস্য অবশেষে উম্মোচন হয়েছে। শারমিনকে কেউই অপহরণ করেনি, প্রেমের টানে নিজেই তার চেয়ে দুই বছরের ছোট চাচাতো ভাই সাগরের সাথে ঘর ছেড়ে পালিয়েছে।  কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাজিয়া বাজার এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শারমিন ও সাগরকে উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশ। সেখানে সাগরের ফুফু রুনা বেগমের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল এরা দুজন। শারমিন অপহরণের অভিযোগের পর পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টানা ৫ দিন অভিযানের পর শারমিন ও সাগরকে উদ্ধার করতে সফল হয়। শুক্রবার অভিযুক্ত সাগরকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিম শারমিনকে পুলিশ হেফাজতে মেডিকেল চেকআপের পর আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    জানা গেছে, মহিপুর থানাধীন ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে শারমিন আকতার (১৬) ও মন্টু হাওলাদারের ছেলে সাগর (১৪) ৯ই মে রাতে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরা দু’জন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই-বোন। শারমিন এবছর এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে। সাগর ৮ম শ্রেনীতে পড়ে। ঘটনার পর ১০ই মে শারমিনের বাবা মহিপুর থানায় মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন। ১২ই মে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে মহিপুর থানায় পাল্টাপাল্টি দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে টানা ৫দিনের অভিযান শেষে ভিকটিম শারমিন ও অভিযুক্ত সাগরকে উদ্ধারের মাধ্যমে অপহরণ ও গুম নাটকের অবসান ঘটিয়েছে পুলিশ।

    মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, শারমিন ও সাগর এরা দু’জন দুজনকে ভালোবাসে। শারমিনকে কেউ অপহরণ করেনি। প্রেমের টানে এরা দুইজন পালিয়ে গিয়ে ছিল। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিকটিম শারমিন ও অভিযুক্ত সাগরকে বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাগরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিম শারমিন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ডাক্তারী পরিক্ষার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


    প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০