• সর্বশেষ আপডেট

    মোংলায় করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে ভর্তি ৭০ বছরের বৃদ্ধা


    মোঃআজিজ মোরল, মোংলা প্রতিনিধিঃ মোংলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি নারায়নগঞ্জ থাকতেন, সেখান থেকে গত ৫ দিন আগে মোংলায় নিজ বাড়িতে আসেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় টি.এ.ফারুক স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সেখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হলে বৃহস্পতিবার রাতে করোনা ভাইরাস সন্দেহে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট করোনার ভয়ে চাকরি ছেড়ে দেয়ার নাম করে পালিয়ে থাকায় নমুনা সংগ্রহ নিয়ে শংঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    স্থানীয়রা জানায়, পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৭০ বছরে ওই বৃদ্ধ। সে ঢাকার নারায়নগঞ্জে বসবাস করতেন। গত সপ্তাহের প্রথমদিকে সে মোংলার ৬নং ওয়ার্ডে বন্দরের শ্রমিক ভবনে নিজ বাসায় আসেন। কিন্ত স্থানীয় বসবাসকারীদের চাপের মুখে শহরের নতুন কলোনীর বাড়িতে প্রথমে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সেখান থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত তৈরী করা হোম কোয়ারেন্টাইন টি.এ.ফারুক স্কুল এন্ড কলেজের একটি কক্ষে রাখা হয়। গত ৫দিন যাবত সেখানেই থাকতেন ওই বৃদ্ধ। বুধবার সকাল থেকে শরীরে প্রচন্ড জ্বর ও মাথা ব্যাথা শুরু হয় তার। পরে সেখান থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস তার সহযোগীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে ওই বৃদ্ধকে।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করে  জানান, অসুস্থ ওই বৃদ্ধার শরীরে প্রচন্ড জ্বর ও মাথা ব্যাথা সহ করোনার উপসর্গ রয়েছে। আগামীকাল (শনিবার) তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।


    এদিকে এ করোনা সন্দেহের ওই বৃদ্ধের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ নিয়ে দেখা দিয়েছে শংঙ্কা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের অনিমেষের সহকর্মীরা জানায়, হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগের এক মাত্র টেকনোলজিষ্ট অনিমেষ শাহা। গত ৭ এপ্রিল মোংলা পোর্ট পৌর শহরের খানজাহান আলী সড়কের শাহিনুর আক্তার নামের এক গৃহবধু করোনার উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেকক্সের ভর্তি হয়। পাশাপাশি শাহিনুর আক্তারকে আইসোলেশনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে তা খুলনা মেডিকেলে পাঠানোর জন্য নিদের্শনা প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসন। এ খবর শুনেই করোনা ভাইরাসের ভয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এমটি) অনিমেষ সাহা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। আর সেই থেকেই অনিমেষ সাহা অধ্যবদি হাসপাতালে অনুপস্থিত।
    এর কারন জানতে চাইলে এক প্রশ্নের জবাবে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস  জানান, গত ৭ এপ্রিল থেকে শরিরিক অসুস্থতার দেখিয়ে অনিমেষ হাসপাতলে অনুপস্থিত। তবে এই দুর্যোগ মুহুর্তে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্ত অধ্যবদি প্রতিষ্ঠানে না এসে সেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন সে, একই সাথে শারিরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ছুটিরও আবেদন করেছে তিনি।


    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান  জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে যাকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনায় পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তবে টেকনোজিষ্ট না থাকায় একটু সমস্যা হয়েছে। তার পরেও কিভাবে নমুনা সংগ্রহ করবে সেটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবে।


    প্রকাশিত: শুক্রবার, ০১ মে, ২০২০