• সর্বশেষ আপডেট

    করোনায় অসহায় মানুষের পাশে চট্টগ্রামের "স্যাভক"

    এস এম আকাশ: বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভাবের  বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের অঙ্গীকার পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের। আর এই যুদ্ধে সামিল হয়ে করোনা মোকাবেলায় শুরু থেকেই চট্টগ্রামে কাজ করে যাচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু বিষয়ক সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী আন্তর্জাতিক সংগঠন সাউথ এশিয়ান ভয়েস ফর চিল্ড্রেন (স্যাভক-SAVC)

    সাধারণ ছুটির শুরু থেকেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ভাসমান বস্তিবাসীদের মাঝে সহস্রাধিক পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সংগঠনটি। বিগত ২৫ মার্চ থেকে স্যাভক ফ্রি স্কুলিং এ পড়ুয়া পাঁচটি শাখায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশাপাশি রিক্সাচালক,দিনমজুর অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে সংগঠনটি। 

    রমজান মাসে ও তাঁদের জনসেবা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন আরো বড় পরিসরে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক হাজার ভাসমান এবং দুঃস্থ মানুষের বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়াতে কাজ করছে তারা। এতে হতদরিদ্র, অস্বচ্ছল, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের দৈনিক খাবার যোগাড় করতে বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ভাসমান হাজারেরও অধিক অসহায় মানুষের পাশে রয়েছে। সমাজের নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ,মধ্যবিত্ত, রিকশাওয়ালা, ভিক্ষুক, পথচারী ও গৃহহীন মানুষের জন্য চালু করেছে "এক বেলা খাবার প্রজেক্ট"  


    একই সাথে ঘরে বসে থাকা পরিবার সহ অসহায় হতদরিদ্র মানুষ থেকে শরু করে যারা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না, তাদের জন্য ব্যবস্হা করেছে অনলাইন ফ্রি চিকিৎসা সেবা৷ স্যাভক হেলথ ডিভিশন এর ১৩ জন এমবিবিএস ডাক্তার টেলি মেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।  এ পর্যন্ত পাঁচ শত এর অধিক মানুষকে তারা অনলাইনে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।

    মানবিক এই কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে স্যাভক এর প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সংগঠক এডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান আলী চৌধুরী দিগন্ত নিউজকে বলেন,            
    রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ভাসমান হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ প্রজেক্ট চালু করেছি। যা ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় বেশ সাড়া পরেছে । প্রথম রমজান থেকে শুরু করে রমজানের ফুড গিফট কার্যক্রম থেকে তিন শতের অধিক নিম্ন বিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে রমাদান ফুড গিফট বিতরণ করেছি এবং 
    পুরো রমজান মাস জুড়েই এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এই মানবিক সংগঠক, তিনি আরও বলে, প্রতিবছরের ন্যায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের জামা বিতরণ, ঈদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দেওয়া অব্যাহত থাকবে,

    সাউথ এশিয়ান ভয়েস ফর চিল্ড্রেন (স্যাভক) সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবন মানোন্নয়নে বছরের বারো মাসই কাজ করে থাকেন। স্যাভক এর ৫টি ফ্রি স্কুলিং শাখা রয়েছে। স্কুলে পড়ুয়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য খাদ্য সামগ্রী প্রদানের পাশাপাশি, সমাজে হতদরিদ্র ও ভাসমানের মানুষের জন্যও সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি, এ দুর্যোগটি কারো একার নয়। দুর্যোগটি পুরো বিশ্বের সবার।করোনা মোকাবেলার অংশ হিসেবে সরকারের পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সংগঠনে পক্ষে  এই উদ্যোগ গ্রহন করেছি। সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণের জন্যই ‘ আসুন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই ’রমাদান ফুড গিফট' কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব কার্যক্রম পরিচালিত করছি।

    মহামারীর এই মুহূর্তে ঘরে বসে থাকায় মানুষেরা অনেক বেশি অসহায় হয়ে পড়ছে,সে কারণে রমজান মাসেও আরো হাজার দুয়েক মানুষের বন্ধু হতে কাজ করছি আমরা।সকলের সহযোগিতা থাকলে আরো বেশি মানুষের দ্বারে স্যাভক এর সেবা পৌঁছে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।

    দিগন্ত নিউজ ডেস্ক/ এস বি কে

    প্রকাশিত: বুধবার, ০৬ মে, ২০২০