• সর্বশেষ আপডেট

    নেই করোনার ভয়,বগুড়ায় মার্কেটগুলোতে মানুষের ভিড়

    নেই করোনার ভয়,বগুড়ায় মার্কেটগুলোতে মানুষের ভিড়

    মনিরুজ্জামান, বগুড়া প্রতিনিধিঃ- করোনা আক্রান্তের ভয় উপক্ষো করে সব বয়সী মানুষ ঈদের কেনাকাটার জন্য বগুড়ার মার্কেটগুলোতে জনসমাগম করছে। বগুড়া প্রশাসন থেকে কেনাকাটার জন্য মার্কেট খোলার সময় সকাল ১০ টা বেঁধে দেওয়া থাকলেও মানছে না কেউ। দেখা গেছে সকাল ১০ টার আগে মার্কেটমুখী সড়কগুলোতে মানুষের স্রোত নেমে আসে। মার্কেট গুলোতে গিয়ে দেখা যায় সরকারিভাবে কেনাকাটার পরিসরকে সীমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও কোন মার্কেটেই ক্রেতা-বিক্রেতারা তা মানছে না। মার্কেটে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দের দেখা গেলেও জনস্রোতে এর কাছে তারা যেন অসহায় হয়ে পড়েছে।


    করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে সরকারি-বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি দোকানপাট ও বিপনী বিতানগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকবার দফায় দফায় এ ছুটি কে বাড়ানো হয়। তার ফলেও করোনার তাণ্ডব দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। কিন্তু সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা ঠিক রাখতে ও ঈদে মানুষ কে কিছুটা স্বস্তি দিতে বিপনী বিতানগুলো স্বল্প পরিসরে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খোলার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বগুড়ায় বিভিন্ন মার্কেট খোলা হয়। স্বল্প পরিসরে খোলার কথা থাকলেও তা মানছে না কেউই। মার্কেটের প্রায় সব কটি দোকান খোলা  হয়েছে পাশাপাশি ঘুরে দেখা গেছে, শুধু তৈরি পোষাক কিংবা জুতা-স্যান্ডেলের দোকানই নয় রড-সিমেন্টসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সব দোকানই খুলেছে। অবশ্য অন্যান্য দোকানগুলোর তুলনায় ঈদের কেনাকাটার জন্য শহরের সবচেয়ে বড় বিপনী বিতান ‘নিউ মার্কেট’-এ ভিড় বেশি সেখানে বেচা-কেনার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা শারীরিক দূরত্বও কেউ রাখছেন না।


    বগুড়ায় পুলিশের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনতান চক্রবর্তী জানান, সরকারিভাবেই প্রত্যেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়েছে। এটা হলো ব্যক্তি সচেতনতার বিষয়। কেউ যদি না মানে তাহলে তাকে জোর করে মানানো খুব কঠিন। তিনি বলেন, বিকেল ৪টার পর যাতে কোন দোকান খোলা না থাকে সে বিষয়টি আমরা খুব কঠোরভাবে দেখবো।

    দিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ এস বি কে


    প্রকাশিত: রবিবার, ১০ মে, ২০২০