• সর্বশেষ আপডেট

    কুমিল্লায় চাচীর সঙ্গে পরকীয়ায় প্রান হারালো ভাতিজা জিয়াউলের


    এম এ বাশার, কুমিল্লাঃ- কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নিখোঁজের তিনদিন পর চাচার সেপটি ট্যাঙ্ক থেকে ভাতিজা জিয়াউল হকের (৩০)  মরদেহ উদ্ধার করাহয়েছে।

    শনিবার (৩০ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউনিয়নেরদক্ষিণ শাকতলী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চাচী মুরশিদাকে (২৫) আটক করলেও চাচা বাছির পলাতক রয়েছেন।

    চাচীর সঙ্গে পরকীয়ার সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের মুন্সি বাড়ির হুমায়ুন কবিরের  ছেলে জিয়াউল হক (৩০) প্রায় দুই বছর আগে প্রবাসথেকে দেশে ফেছেন। গত (২৭ শে মে) বুধবার রাত থেকে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজেপায়  নি।

    এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার। তার মধ্যে (৩০ শে মে) শনিবার প্রবাসী চাচা বাছির কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়েযায়।

    সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন জানতে পারে জিয়াউল হক কে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দি করে চাচার সেপটি ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়াহয়েছে। এ খবর স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পৌঁছে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

    পুলিশ জিয়াউলের চাচী মুরশিদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। চাচীর সঙ্গে পরকীয়ার সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেবলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যেকর সৃষ্টি হয়।

    নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের চাচী মোর্শেদা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। নিহতের পরিবার মামলা দায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।


    প্রকাশিত: রবিবার, ৩১ মে, ২০২০