• সর্বশেষ আপডেট

    দাজ্জালের সঙ্গে ইহুদি ধর্মযাজকের যোগাযোগ শুরু

    দাজ্জালের সঙ্গে ইহুদি ধর্মযাজকের যোগাযোগ শুরু


    ইসরাইলের শীর্ষ ইহুদি ধর্মযাজক চেইম ক্যানিভস্কি দাবি করেছেন দাজ্জালের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে এবং সে শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। এজন্য দাজ্জালের সঙ্গে ইতোমধ্যে ইহুদিদের যোগাযোগ শরু হয়ে গেছে বলেও তিনি দাবি করেছেন।

    তার দাবিকৃত দাজ্জাল এ মুহূর্তে পৃথিবীর কোথায় অবস্থান করছে তার কোনো তথ্য তিনি সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করেননি।

    ইহুদি ধর্মযাজকের নাম চেইম ক্যানিভস্কি। তিনি রাসুল (সা.) এর একটি হাদীস বিশ্লেষণ করেছেন। হাদিসটিতে বলা হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেন, তামিম আদ-দারি ছিল একজন খ্রিস্টান। সে আমার কাছে আগমণ করে ইসলাম গ্রহণ করেছে। সে একটি ঘটনা বর্ণনা করেছে, যা তোমাদের কাছে আমার বলা দাজ্জালের ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যায়।

    তামিম আদ-দারি বলেছে, কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে আমি একবার সমুদ্রভ্রমণে বের হই। একসময় ঝড়ের কবলে পড়ে দিকভ্রান্ত হয়ে যাই। এক মাস পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউ আমাদের নিয়ে খেলা করতে থাকে। পরিশেষে, ঢেউ পশ্চিম দিকের একটি দ্বীপে আমাদেরকে নিয়ে পৌঁছায়।

    তারপর আমরা ছোট ছোট নৌকায় চড়ে দ্বীপের অভ্যন্তরে প্রবেশ করি। সেখানে এক বিশেষ প্রাণীর সন্ধান পাই। প্রাণীটি স্থূল ও ঘনচুলবিশিষ্ট। কথপকথনে সে জানাল, সে জাসসাসাহ (সংবাদ সংগ্রহকারী গোয়েন্দা)। বলল, তোমরা ওই ঘরের দিকে যাও সেখানে একজন তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানে আমরা দীর্ঘকায় এক মানবকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেলাম। এমন ভয়ংকর মানুষ আমরা ইতিপূর্বে আর কখনও দেখিনি। তার হাত দু’টিকে ঘাড়ের সঙ্গে একত্রিত করে হাঁটু এবং গোড়ালির মধ্যবর্তী স্থানে লোহার শিকল দ্বারা বেঁধে রাখা হয়েছে।


    সে শুরুতে আমাদের পরিচয় জানতে চায়। আমরা পরিচয় দিলে সে বলে, আমাকে তোমরা ‘বাইসান’ সম্পর্কে সংবাদ দাও। সেখানের খেজুর গাছগুলো কি এখনও ফল দেয়? আমরা জানাই, হ্যাঁ। সে বলে সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন গাছগুলোতে কোন ফল ধরবে না। এরপর সে বলল, আমাকে তাবরিয়া উপসাগর সম্পর্কে সংবাদ দাও। সেখানে কি এখনও পানি আছে? বললাম, প্রচুর পানি আছে। সে বলল, অচিরেই সেখানকার পানি শেষ হয়ে যাবে। সে আবার বলল, আমাকে যুগার কূপ সম্পর্কে সংবাদ দাও, সেখানে কি এখনও পানি আছে?

     বললাম, প্রচুর পানি রয়েছে। লোকেরা সে পানি দিয়ে চাষাবাদ করছে। আমাকে উম্মিদের নবি সম্পর্কে জানাও- সে প্রশ্ন করলে আমরা বলি, তিনি মক্কায় আগমন করে বর্তমানে মদিনায় হিজরত করেছেন। আরবরা কি তার সাথে যুদ্ধ করেছে? তার প্রশ্নের জবাবে আমরা বলি, হ্যাঁ। পার্শ্ববর্তী আরবদের ওপর তিনি জয়লাভ করেছেন। ফলে তারা তার আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছে। সে বলল, তার আনুগত্য করাই তাদের জন্য ভালো।

    এরপর সে বলল, এখন আমার কথা শোনো- আমি হলাম দাজ্জাল। অচিরেই আমাকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। আমি বের হয়ে চল্লিশ দিনের ভেতরে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করব। তবে মক্কা-মদিনায় প্রবেশ করা আমার জন্য নিষিদ্ধ থাকবে।


    এরপর রাসুল(সা.)সাহাবিদের লক্ষ্য করে বললেন, ‘তামিম আদ-দারির বর্ণনাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তার বর্ণনা আমার বর্ণনার অনুরূপ হয়েছে। বিশেষ করে মক্কা ও মদিনা সম্পর্কে। শুনে রাখো! সে আছে সিরিয়ার সাগরে (ভূমধ্যসাগরে) অথবা ইয়েমেন সাগরে। না! বরং পূর্ব দিকে আছে, সে পূর্ব দিকে আছে। এই বলে তিনি পূর্ব দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন।

    দিগন্ত নিউজ ডেস্ক/কেএস



    প্রকাশিত: বুধবার, ০৬ মে, ২০২০