• সর্বশেষ আপডেট

    বিএসএমএমইউতে কিটের সঙ্গে টাকাও জমা দিয়েছি - ডা.জাফরুল্লাহ

    বিএসএমএমইউতে কিটের সঙ্গে টাকাও জমা দিয়েছি - ডা.জাফরুল্লাহ

    করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য উদ্ভাবিত কিট ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’এর ২শ’ নমুনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে ওষুধ প্রশাসনকে রিপোর্ট দেবে বিএসএমএমইউ। 

    গণস্বাস্থ্যের কিট বড় আকারে পরীক্ষার জন্য অনুমোদন পাবে কিনা তা কার্যকারিতা পরীক্ষার ওপরই নির্ভর করছে বলে গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।  

    তিনি বলেন, উদ্ভাবিত কিটের ২শ’টি নমুনা জমা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসবের খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফিও জমা দেয়া হয়েছে।

    জাফরুল্লাহ চৌধুরী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা ৭ দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা। তিনি বলেন, প্রচলিত পিসিআর পরীক্ষার কার্যকারিতার সাথে কিটের পরীক্ষার তারতম্য আছে কিনা তা যাচাই করে দেখবে বিএসএমএমইউ।  এরপরই প্রতিবেদন দেবে তারা।


    গত ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্যকে তাদের উদ্ভাবিত কিটের নমুনার কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ অথবা আইসিডিডিআর‘বিতে জমা দেয়ার জন্য অনুমতি পত্র প্রদান করে। বৈশ্বিক মহামারীতে রুপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বাংলাদেশ এখন আমদানি করা কিটের উপর নির্ভর করছে।

    এর মধ্যেই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিজন কুমার শীল কোবিড-১৯ রোগ শনাক্তে কিট উদ্ভাবনের কথা জানান গত মার্চ মাসের শুরুতে।

    গত ১৯ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাসের কিট উৎপাদনের অনুমতি পায়।  গত সপ্তাহে চীন থেকে কাঁচামাল(রি-এজেন্ট) আসার পরপরই কিটের স্যাম্পল তৈরি করার কাজ শুরু করে তারা।

    বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে এই কাজে যুক্ত রয়েছেন ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাইদ জমিরুদ্দিন ও ড. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।

    ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ নামের এই পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য খরচ হবে তিন‘শ থেকে সাড়ে তিন‘শ টাকা হবে বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

    দিগন্ত নিউজ ডেস্ক/কেএস

    প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ মে, ২০২০