• সর্বশেষ আপডেট

    বাগমারায় সরকারী ঋণ পেতে ইউএনও নিকটে আবেদন

    বাগমারায় সরকারী ঋণ পেতে ইউএনও নিকটে আবেদন

    মোঃ মুকুল, বাগমারাঃ- রাজশাহীর বাগমারায় করোনা ভাইরাসের কারনে মানবেতর জীবন যাপন করে চলেছেন ডেকোরেটর মালিক সমিতি। সরকারী নিয়মনীতি মেনে প্রায় দেড় মাসের অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে তাদের কার্যক্রম। এর ফলে পরিবার পরিজন সহ ডেকোরেটর ব্যবসায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে। করোনার প্রভাবে বন্ধ রয়েছে সভা-সমাবেশ, মিটিং, বিবাহ সহ সকল প্রকার অনুষ্ঠানাদী। ওই সব জায়গায় ডেকোরেটর মালিকরা তাদের জিনিসপত্র ভাড়ার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে।

    ডেকোরেটর ব্যবসা পরিচালনা করতে অনেক অর্থেরও প্রয়োজন হয়। সেই সাথে মালামাল রাখতে প্রয়োজন হয় বড় জায়গার। বাজারের মধ্যে প্রায় সবচেয়ে বড় ঘর লাগে এই ব্যবসা পরিচালনা করতে। এর জন্য ঘর ভাড়াও দিতে হয় অনেক বেশি। সেই সাথে বিদ্যুৎ বিল, লেবার খরচ সহ পরিবার পরিজনের খরচ বহণ করা দুঃসহ হয়ে উঠেছে তাদের। উপজেলার পশ্চিম বাগমারায় ৩২টি ডেকোরেট মালিক মিলে গঠণ করেছেন এই সমিতি। ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল তারা।

    বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে তাদের ব্যবসা। তাদের দাবী সরকার যদি তাদেরকে অল্পসুদে ঋণ দেয় তাহলে ডেকোরেটর মালিকরা আবারও ভালো ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। সরকারী ভাবে তাদেরকে যেন ঋণ প্রদান করা হয় সে জন্য মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ডেকোরেটর মালিক সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়। তাদের দাবী দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান সরকারী সহযোগিতা পেয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে পারলে আমরা কেন সরকারী ঋণ পাবো না। অল্পসুদে ঋণ পেলে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা থেকে রেহায় পাওয়া সম্ভব।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা ডেকোরেটর সমিতি সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন, সেক্রেটারি উজ্জল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ সাহাবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাঞ্চন কুমার, সদস্য কোচি, উজ্জল, পেয়ার আলী, সাহেব আলী প্রমুখ। 

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বলেন, ডেকোরেটর মালিকরা যেহেতু ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ রেখে মানবেতর জীবন যাপন করে চলেছে। আর এই ব্যবসা পরিচালিত করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। সমিতির পক্ষ থেকে সরকারী ঋণ পাওয়ার আবেদন করেছে তাই তাদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সরকার যদি চায় তাহলে তারা অব্যশই ঋণ পাবে।

    প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০