• সর্বশেষ আপডেট

    নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালীর ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন


    মাসুদ রানা,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম)::   রাজারহাটে আবারো ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু হওয়ায় হুমকীর সম্মূখীন হয়ে পড়েছে অনেক ফসলি জমি ও বসত বাড়ি।

    জানা গেছে,নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গত তিন দিন ধরে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা সোনার জুম্মা গ্রামের কপিল উদ্দিন 
    বকসীর পুকুর থেকে ২টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন রাত অনবরত বালু উত্তোলন করে তিন কিলোমিটার রাস্তায় কাজ শুরু হয়েছে।

    বালু উত্তোলন অব্যাহতথাকায় ওই পুকুরের চারপাশের ফসলি জমি ও বসত ভিটা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ড্রেজার মালিক মোস্তফা ও পুকুর মালিক কপিল উদ্দিনকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা নিষেধ অগ্রাহ্য্য করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন।

    উল্লেখ্য প্রায় দুই মাস পূর্বে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ যোবায়ের হোসেন যত্রতত্র ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন আইনত অবৈধ হওয়ার কারনে ৮/১০টি ড্রেজার মেশিন ও সরঞ্জামাদি পুড়িয়ে দেন। এরপর থেকে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ২৫টি ড্রেজার মেশিন বন্ধ পরে রয়েছে।  

    এছাড়া বৈধ পন্থায় বালু উত্তোলনের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে উপজেলার ৯টি স্থানে বালু মহাল স্থাপনের অনুমতির লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরন করা হয়। সেসময় ড্রেজার মেশিনগুলো বন্ধ হওয়ার পর স্থানীয় একটি দালাল চক্র ব্যবসা পূনঃরায় চালাতে প্রশাসনের একজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজের কথা বলে একাধিক ড্রেজার মালিকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা ও মাসোহারা দাবীর গুঞ্জন উঠে। 

    ড্রেজার মালিকরা এই অনৈতিক দাবী পূরনে রাজী হয়নি।এরপর গত মার্চ মাসের শেষার্ধে পূণঃরায় উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের সরিষাবাড়ি এলাকায় ৬টি ড্রেজার দিয়ে বালূ উত্তোলন শুরু হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ যোবায়ের হোসেন পূনঃরায় অভিযান চালিয়ে ওই মেশিনগুলো ধ্বংস করে দেন। 

    এবিষয়ে উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাঃ যোবায়ের হোসেন জানান,করোনা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে খোঁজখবর রাখতে পারিনি। এখন অবগত হলাম, বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


    প্রকাশিত: বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০