• সর্বশেষ আপডেট

    বহদ্দারহাট কাচাঁ বাজার পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র চট্টগ্রাম



    বহদ্দারহাট কাচাঁবাজার পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র চট্টগ্রাম ৪ মার্চ ২০২০ ইংরেজী


    আজ বুধবার  সকালে  চট্টগ্রাম  সিটি  কর্পোরেশন  পরিচালিত  নগরীর বহদ্দারহাট কাচাঁবাজার পরিদর্শন  করেন  চট্টগ্রাম  সিটি  কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন। পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র বাজার কমিটির  নেতৃবৃন্দসহ  সর্বস্তরের  জনসাধারণের  সাথে কাচাবাজারের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন।

    তিনি বলেন বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার একটি সুপরিচিত  বাজার  এবং  জনগুরুত্বপূর্ণ  স্থানে অবস্থিত। যোগাযোগ  ব্যবস্থার  সুবিধায় নগরীর  বিভিন্ন  এলাকা  থেকে ক্রেতাসাধারণ ছুটে আসে এ বাজারে।

    তারই প্রেক্ষিতে বাজারটিকে বহুতল ভবন বিশিষ্ট আধুনিক কিচেন মার্কেটে রুপান্তরের উদ্যোগ গ্রহন করে চসিক। এ লক্ষে কাঁচাবাজারের  ভবন  নির্মাণ ও বাজারের রাস্তা,  ফুটপাত ড্রেনের উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে চসিক।

    বর্তমানে  বাজারটিকে বহুতল  বিশিষ্ট  আধুনিক  কিচেন  মার্কেটে রূপান্তরসহ রাস্তাঘাট, ড্রেন ও ফুটপাতের কাজ চলমান রয়েছে। সিটি মেয়র বাজারের বিভিন্ন ভবন পরিদর্শনকালে ভাসমান ব্যবসায়ীরা রাস্তা ও ফুটপাত ব্যবহারের অনুমতি প্রার্থণা করেন। এ ব্যাপারে সিটি মেয়র চলমান রাস্তা,ফুটপাত ও ড্রেনের কাজ যথাসময়ে শেষ করার জন্য ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, চলমান কাজ শেষ হলে ভাসমান ব্যবসায়ীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ  গ্রহন  করা  হবে। 

     এ  প্রসঙ্গে ভাসমান ব্যবসায়ীদের  বাজার  শেষে তাদের  নিজ দায়িত্বে পরিস্কার  পরিচ্ছন্ন  করার তাগাদা দেন মেয়র। তিনি এ বিষয়ে বাজার কমিটিকে কঠোর নজরদারী করার নির্দেশনা প্রদান করেন।


    বাজার পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশন  পরিচালিত  নির্মাণাধীন  দু’টি ভবনের নির্মাণ কাজ সরেজমিনে  প্রত্যক্ষ করেন। শিঘ্রই এ দু’টি ভবনের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর সিটি  মেয়র বহদ্দারহাট কাচাঁবাজারে অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন রাজস্ব সার্কেল-২কার্যালয় পরিদর্শন করেন। 

    তিনি সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেনএবং রাজস্ব আদায় সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে খোজখবর নেন। তিনিরাজস্ব আদায়ে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরো বেশি যত্নবান হওয়ার তাগিদ দেন। জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে  আলাপকালে  সিটি মেয়র বলেন,  নগরীতে  জনসংখ্যা  ক্রমশ  বাড়ছে। অতীতের  সড়ক,  নালা নর্দমাসহ সব কিছুই আগের অবস্থায় আছে।

    অন্যদিকে  নালা-নর্দমা গুলোতে যত্রতত্র  ময়লা  আবর্জনা ফেলার  কারণে, যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরীর নিম্নাঞ্চল জলমগ্নহয়ে পড়ে। তাই গৃহস্থলী ময়লা  আবর্জনা  যত্রতত্র  না ফেলে নগরীবাসীকে  সিটি কর্পোরেশনের সেবকদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মেয়র। 

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান প্রকৌশলী  লে.কর্নেল  সোহেল আহমেদ,  মেয়রের একান্ত  সচিব আবুল  হাসেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল  আলম,  ভূসম্পদ  কর্মকর্তা  মো.এখলাস উদ্দিন আহমদ, করকর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, উপ কর কর্মকর্তা আবদুল মজিদ, উপ সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, যুবলীগ নেতা ওয়াহিদু আলম শিমুল, বহদ্দারহাট বাজার দোকান মালিক সমিতির  সভাপতি  মোহাম্মদ  ঈসা,  সাধারণ সম্পাদক  তছকির  আহমেদ,  বদিউল আলম, হাজী  জানে  আলম,ফয়সাল বাপ্পী,মোজাম্মেল হক ও ব্যবসায়ীসহ বিপুল সংখ্যক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


    অলি খাঁ জামে মসজিদের সম্প্রসারিত দ্বিতীয় তলার উদ্বোধন করলেন মেয়র চট্টগ্রাম-৪ঠা মার্চ-২০২০ ইংরেজী। 

    হাজারো মুসল্লি নিয়ে নগরীর নওয়াব ওয়ালিবেগ খাঁ (অলি খাঁ) জামে মসজিদের  এশার  নামাজ  আদায়ের  মাধ্যমে  সম্প্রসারিত  দ্বিতীয়  তলা উদ্বোধন করলেন  চট্টগ্রাম  সিটি  কর্পোরেশনের  মেয়র  আলহাজ আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। মঙ্গলবার রাতে এর উদ্বোধন করা হয়।


    এ সময় মসজিদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এ এ এম সাইফুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আনোয়ার, কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুমোজাহেরুল ইসলাম, হাজী মকবুল আহমদ, আলহাজ্ব খালেদ জামান, মফিজুর রহমান, মো. নাজিম উদ্দিন, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, ফারুক খালেক চৌধুরী,সৈয়দ  ছগির  আহমদ,  আলহাজ্ব  সেলিম উদ্দিনসহ স্থানীয়  গণ্যমান্য মুসল্লি। 

    দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের  খতিব  অধ্যাপক  মাওলানা  আবদুল  মান্নান  আশরাফী। সম্প্রসারিত  এ দ্বিতীয়  তলা  উদ্বোধনের  ফলে মুসল্লিরা  এখন  থেকে মসজিদেও মূল ভবণের দ্বিতীয় তলায় বসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেপারবেন।

    দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য শৈলীর এই মসজিদটির পুরাতন অবকাঠামো অক্ষুণ্ন রেখে  মসজিদটি সম্প্রসারিত করা হয়েছে। প্রতি  ফ্লোর পাঁচহাজার  বর্গফুট  হিসাবে  ছয়  তলার  সর্বমোট ৩০  হাজার  বর্গফুট আয়তনের এই মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।

     এতে চার  হাজার  মুসল্লি  এক সাথে নামাজ  আদায় করতে  পারবেন। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই মসজিদের উন্নয়ন কাজের আওতায় প্রতি ফ্লোরের সৌন্দর্যবর্ধন,  টাইলস স্থাপনসহ  নানামুখী  কাজ  সম্পন্ন  করা  হবে।

    এছাড়া আরো থাকছে দুইটি লিফট, দুইটি সিঁড়ি, ৮৫ ফুট বিশিষ্টসুউচ্চ  একটি  মিনার,  কারপার্কিং ব্যবস্থা,  টয়লেট,  ওজুখানা ইমামমুয়াজ্জিন ও অফিস কক্ষ এবং পাঠাগার ইত্যাদি।

    ইতোমধ্যে মসজিদের মূলভবণের ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত আর সি ওয়ার্ক কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সাবেক মেয়রআলহাজ¦  এবিএম  মহিউদ্দিন  চৌধুরী  আমলেই  ৬ষ্ঠ  তলা  পর্যন্ত আরসিওয়ার্ক  সম্পন্ন  হয়।  

    এতে  ব্যয়  হয়  প্রায়  চার  কোটি  টাকা।  জনাব মহিউদ্দিন চৌধুরীর  মৃত্যুর  পর  চট্টগ্রাম  সিটি  কর্পোরেশনের  মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন এই মসজিদের দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন।সিটি মেয়রের উদ্যেগে মসজিদের দ্বিতীয় তলার কাজ হিসেবে ইতোমধ্যে দেওয়ালে  রংপ্লাষ্টারফ্যান,  লাইটিংজানালায়  গ্রীল,  থাই এ্যালূমিনিয়াম গ্লাসদরজা, ফ্লোরে টাইলস বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় তলার কাজও শিঘ্রই শেষ হবে।

    ফলে মসজিদের মুসল্লীরা মসজিদের মূলভবণে বসেই নামাজ আদায় করতে পারবে। এই ফ্লোরের কাজ সম্পন্ন করতেব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। নগরীর চকবাজার এলাকায় অবস্থিতইসলামের প্রাচীন স্থাপত্য এই মসজিদ। 

    ১৭১৩ সালে মোগল আমলে নওয়াবওয়ালিবেগ খাঁ এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র বলেন মসজিদ নির্মাণ, সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। ইসলামে মসজিদ নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

    মহান আল্লাহ  রাব্বুল  আলামিনের  পক্ষ  থেকে  সর্বপ্রথম পৃথিবীর  বুকে  যে  ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল তা হলো মসজিদুল হারাম বা পবিত্র কাবাঘর। নবীকরিম  সা:  মদিনায়  হিজরতের  পর  সর্বপ্রথম  সবচেয়ে  গুরুত্ব  দিয়ে যেকাজটি করেছিলেন তা হলো মসজিদ নির্মাণ। কোনো এলাকায় মসজিদ থাকা এটা মুসলিম এলাকার পরিচয়পত্রের মতো। মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল।  তাই আমাদের সবাইকে  মসজিদ নির্মাণ  ও সংরক্ষণের সাথে  সংশ্লিষ্ট  থাকার  তাওফিক  দানে  মহান আল্লাহ  তায়ালার  কাছে সহযোগিতা কামনা করেন সিটি মেয়র। 

    এ প্রসঙ্গে তিনি নামাজ, রোজাহজ্ব, যাকাত আদায়ের পাশাপাশি রাসুলে করিম (স:) প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। মেয়র বলেন, কায়মনোবাক্যে আমরা আল্লাহর কাছেক্ষমা  চাইলে  তিনি ক্ষমা  করে  দেন।  কিন্তু মানুষের  হক  হরণকারীকে  তিনি কখনো ক্ষমা করেন না। যতক্ষন পর্যন্ত যার হক কেড়ে নেয়া হয়েছে সে ক্ষমা না করে।


    প্রকাশিত: বুধবার, ০৪ মার্চ, ২০২০