• সর্বশেষ আপডেট

    করোনার প্রভাবে ঝালকাঠি চালের বাজারে যেন আগুনের ছোয়া


    ঝালকাঠিঃ-হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে ঝালকাঠির চালের বাজার। বিশেষকোনো কারণ বা অজুহাত ছাড়াই প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২শথেকে সাড়ে ৪শ টাকা পর্যন্ত। গত বুধবার (১৮ মার্চ) ঝালকাঠির চালবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় বস্তাপ্রতি চালের দর বেড়েছে ২শ থেকে সাড়ে৪শ টাকা পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চিনিগুঁড়া বা স্বর্ণাবুলেট চালের দর। কেজিপ্রতি চিনিগুঁড়া চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭টাকা পর্যন্ত। এসব বাজারে এক সপ্তাহ আগে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫শ থেকে ৪৭শ টাকার মধ্যে। মাত্রতিনদিনের ব্যবধানে চিনিগুঁড়া চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজারথেকে ৫ হাজার ২৫০ টাকা পর্যন্ত।

    অন্যদিকে মাত্র তিনদিন আগে খুচরা বাজারে প্রতিবস্তা মিনিকেটচাল বিক্রি হয়েছে ২২ শ টাকা, আটাশ চাল ১৭শ টাকা, বিভিন্ন প্রকারনাজির চাল প্রতিবস্তা ২১শ টাকা থেকে ২৮শ টাকায়। বর্তমানে ঝালকাঠিরবাজারে প্রতিবস্তা স্বর্ণা বুলেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ১৮শ ২০টাকা, বিভিন্ন প্রকার নাজির চাল প্রতিবস্তা বিক্রি হচ্ছে ২২ শ ৫০টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। হঠাৎ করে চালের দাম বাড়া নিয়ে ক্ষোভ তৈরিহয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। আর বিক্রেতারা বলছেন, মিলকল মালিকরা চালের দামবাড়িয়ে দিয়েছেন। মিল থেকে বাড়তি দামে চাল কেনায় তাদের বাড়তিদামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। মোঃ ইয়াসিন নামে ঝালকাঠির বড় বাজারেরএক ক্রেতা বলেন, এখন ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের দর-দাম ঠিক করে দেন। আমরাবাধ্য হয়েই তাদের থেকে মালামাল সংগ্রহ করি। মাত্র দু-দিন আগে যে চাল৪০ টাকা কেজি দরে কিনেছি আজ সেটার দাম হয়ে গেলো ৪৮ টাকা।


    এযেন মগের মুল্লুক! করোনা আতংকে চালের বাড়তি দাম এবং মজুদেরপ্রবণতা সৃষ্টি করছে। আবার কিছু কিছু অসাধু বিক্রেতারা হঠাৎ করেকৃত্তিম দাম বৃদ্ধি করে বাড়তি মুনাফা লাভ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।বাজারের প্রতিনিয়ত ক্রেতা হালিমা খাতুন, তিনি বলেন, কোন কারনছাড়াই চালের দাম বাড়লো। সরকারিভাবে বাজার তদারকি না করলে শুধু চালকেনো সব কিছুর মূল্য নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে ব্যবসায়ীদের হাতে। যখন চালেরদাম বাড়ানো হলো সে সময়েই পদক্ষেপ নেওয়া হলে অণ্যসব পন্যের দামবাড়তো না। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা দুষছেন মিলকলমালিকদের। তাদের মতে, বাজারে চালের বিক্রি কম হলেও অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে চালের। এ অবস্থায় দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। এবিষয়ে ঝালকাঠি বাজারের চাল বিক্রেতা ও মেসার্স অমৃত ভান্ডার জানান,তিন/চার দিনের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি ২শ থেকে ৪শ টাকাবেড়েছে। এখন চালের বিক্রি কম হলেও মিলকল মালিকরা এ দাম বাড়িয়েছেন।সেখান থেকে বেশি দামে চাল কেনায় আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতেহচ্ছে। তবে মিল মালিকরা চালের দাম কমালে আমাদের এখানেও দাম কমেআসবে।

    মোঃ আল-আমিন ঝালকাঠি-
    প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০