• সর্বশেষ আপডেট

    পাকিস্তান না গেলে হোম টেস্ট থেকে বাদ পড়বেন মুশফিক!


    শেষ দুই সফরে পাকিস্তান যাননি মুশফিকুর রহিম।মুশফিককে ছাড়াই দু'বার পাকিস্তান সফর করেছে বাংলাদেশ দল। লাহোরে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজ এবং রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট খেলেছে। দুই সফরেই ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন টাইগাররা। বিশেষ করে টেস্ট দলের ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো। সাকিব ও মুশফিক না থাকায় টেস্ট দলটা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে বলে মনে করে বিসিবি। দেশের প্রয়োজনেই মুশফিককে এপ্রিলে পাকিস্তান সফরে চায় বিসিবি। পাকিস্তানে না গেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও রাখা হবে না তাকে। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের এই শর্তে রাজি হলে হোম টেস্টে খেলবেন মুশফিক।

    gifs website

    জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, মুশফিকের কারণে তিন টেস্টে তিনবার দলে পরিবর্তন করার পক্ষে নন তিনি। কোচের এই সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন আছে জাতীয় দল নির্বাচকদেরও।

    বিসিবি পরিচালকরাও মনে করেন, এপ্রিলে করাচিতে একটি ওয়ানডে ও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার নির্বাচক প্যানেলের একজন বলেন, 'বাংলাদেশ দল দুবার পাকিস্তানে খেলে এসেছে। কারও কোনো সমস্যা হয়নি। সতীর্থদের কথা ভেবে হলেও মুশফিক গেলে ভালো করবে তিনি মনে করেন। টেস্ট দলটা খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। সেখানে বারবার পরিবর্তন করা হলে কেউই সেটেল হতে পারবে না। আমি মনে করি, যাকে পাকিস্তান সফরের জন্য নির্বাচন করা হবে তাকেই যেতে হবে।'

    পাকিস্তানে খেলা হওয়ায় পিএসএলে নাম দেন না মুশফিক। জাতীয় দলের সিরিজ চূড়ান্ত হওয়ার আগে থেকেই পাকিস্তানে যাওয়ার বিপক্ষে ছিলেন তিনি। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে খেলতে যাননি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ দল দু'বার খেলে আসার পর এবার মুশফিকের কোনো অজুহাতই আর আমলে নেবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। দেশপ্রেমের পরীক্ষায় পাস করতে হবে তাকে। মুশফিক না ফিরলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে একটা পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে বাদ দেওয়া হচ্ছে টেস্ট দল থেকে। এখন থেকে সীমিত ওভারের ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে বলা হয়েছে তাকে।

    বিসিবির একজন পরিচালক বলেন, 'চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যে মাহমুদুল্লাহকে টেস্ট দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন বুঝেশুনেই দিয়েছিলেন। মাহমুদুল্লাহ টেস্টের জন্য কখনই কার্যকর ছিল না।' মুশফিককে নেওয়া হলে মাহমুদুল্লাহর জায়গায় খেলবেন তিনি।

    প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০