• সর্বশেষ আপডেট

    মুজিববর্ষ পালন করতে গিয়ে অতিরঞ্জিত কিছু যেন না হয় -প্রধানমন্ত্রী | Digontonewsbd.com


    মুজিববর্ষ পালন নিয়ে এমপিদের বাড়াবাড়ি না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি দেন। ওই বৈঠকে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমতি ছাড়া কোথাও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল যাতে তৈরি না করা হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

    সভায় মুজিববর্ষ পালন করতে গিয়ে অতিরঞ্জিত কিছু যেন না হয় সে জন্যে এমপিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কী অবস্থায় আমাদের চলতে হয়েছে। ওই সময় অনেকের ভূমিকা আমি জানি। তাই মুজিববর্ষের কর্মসূচি পালনের নামে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। নিয়মতান্ত্রিককভাবে কর্মসূচি পালন করতে হবে।

    বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরিতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, কেউ ম্যুরাল করতে চাইলে যেন ট্রাস্টের অনুমতি নিয়ে করেন। অনুমতি ছাড়া যত্রতত্র যেন ম্যুরাল তৈরি করা না হয়।

    জানা গেছে, সভায় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষে গৃহহীনদের বাড়িঘর করে দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে এ ব্যাপারে এমপিদের কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন। বলেন, মুজিববর্ষে যেন কেউ গৃহহীন না থাকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। যাদের ঘরবাড়ি নেই তাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি সুস্থ থাকলে আসবেন। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভুটানের রাজাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তারা আসবেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। এই ডাকটিকিট যাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সংসদের স্পিকারদের কাছে পৌঁছানো যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।


    এসময় মার্চের শেষ দিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন হবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরজন্য আগামী ২২ ও ২৩ মার্চকে সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এই অধিবেশনে এমপিদের মধ্যে যারা বক্তব্য দেবেন তাদেরকে আগে থেকে স্পিকারকে অবহিত করা এবং প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ১৯ মার্চ সংসদ ভবন চত্বরে শিশুমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সব এমপিরা যাতে উপস্থিত থাকেন সে বিষয়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

    সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রী ও এমপিদের অনুপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি, যারা নিয়মিত অধিবেশনে আসেন না তাদের সিট দূরে সরিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। গতকাল মঙ্গলবার ছিল ষষ্ঠ অধিবেশনের শেষ দিন।

    সূত্র জানায়, সংসদ চলাকালে এমপি ও মন্ত্রী বিশেষ করে তার আশপাশের এমপিরা অনুপস্থিত থাকায় বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা । প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা সংসদে নিয়মিত না থাকলে তাদের চেয়ারগুলো যেন দূরে সরিয়ে দেয়া হয়।

    এ সময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, অধিবেশন চললে তিনি নিয়মিত বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু দেখা যায় অনেকেই বৈঠকে থাকেন না। তিনি সংসদে ভাষণ দেয়ার সময় আশপাশের চেয়ারগুলো ফাঁকা দেখা যায়। টেলিভিশনে এই ফাঁকা চেয়ারগুলো দেখা যায়। এতে সংসদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। জরুরি কোনও কাজ না থাকলে সবাই যেন অধিবেশনে উপস্থিত থাকে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    একঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এ বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, গাজী শাহনেওয়াজ, মাজহারুল হক প্রধান, আ স ম ফিরোজ, ছোট মনির, মৃনাল কান্তি দাস, নাজিম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    gifs website


    প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০