• সর্বশেষ আপডেট

    ৯ নং ওয়ার্ডবাসীর কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।


    এম এ মেহেদি: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। আছেন ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক এর দায়িত্বেও। কাউন্সিলর হিসেবে গত সাড়ে চার বছরে জহুরুল আলম জসিমের গৃহীত নানা পদক্ষেপ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতির চলছে চুলচেরা বিশ্নেষণ, তবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অনেকটা সফল হয়েছে বলে জানান ঐ ওয়ার্ডের অনেকেই।

    কাউন্সিলর বলছেন, ওয়ার্ডকে ক্লিন গ্রীন ও একটি আদর্শিক  ওয়ার্ডে রূপান্তরে অনেকটা এগিয়ে গেছেন তিনি, এরপরও কিছু  কাজ বাকি রয়েছে আবার নির্বাচিত হলে শতভাগ করতে সক্ষম হবে বলেও তিনি জানান।

    কাউন্সিলর বলেন ওয়ার্ডকে আমূল বদলে দেওয়ার জন্য সাড়ে চার বছর যথেষ্ট সময় নয়।  এই এলাকার  গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলো নতুন রঙে রাঙিয়েছি, নিজ অর্থে বঙ্গবন্ধু চত্তর নির্মাণ করেছি  প্রায় ১৫০ টি রাস্তা করেছি, মুসল্লিদের জন্য পূর্ব ফিরোজশাহ তে ঈদ গাহ নির্মাণ করেছি,  ঘরে ঘরে গিয়ে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ প্রবর্তন করেছি।  সাড়ে চার বছরে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যায়ে রেকর্ড সংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি আরো ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। 

    তারপরেও কিছু নিন্দুক সমালোচনা করে যাচ্ছেন।  ২০১৫ সালের আগে এই এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ছিল উন্মুক্ত ডাস্টবিন তখন যেখানে-সেখানে ফেলা হতো ময়লা-আবর্জনা। ময়লার দুর্গন্ধে অনেক স্থানে চলাচল করাও কষ্টকর ছিল। অল্প বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হত,  মাদক সন্ত্রাসের আখড়া ছিল এই এলাকা।

    কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর ডোর টু ডোর প্রকল্প গ্রহণ করে ওয়ার্ডবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি ময়লা রাখার  প্লাস্টিক বিন। এই ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্থা প্রশস্ত  ও পাকা করেছি ড্রেন গুলো বড় করেছি ফলে এখন আর জলাবদ্ধতা হয়না। প্রশাননের সহযোগীতায় মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজ দখলবাজ দের নির্মূল করেছি। 

    তারপরও এটি নিয়ে যারা কথা বলছেন সমালোচনা করছেন, তারা যতটা না দলের লোক তার চেয়ে বেশি নিন্দুক। নির্বাচন যত কাছে আসছে, তাদের এ অপতৎপরতা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি এসব নিয়ে সময় নষ্ট করি না। সাধারণ মানুষ কী ভাবছে, তারা কতটা সুফল পাচ্ছে- আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ সেটিই।

    এই ওয়ার্ডের অকল্পনীয় উন্নায়নের সুফল ভোগ করছে জনগন, আমি আশা করি আমি দলীয়  তৃনমূল নেতা কর্মীসহ  সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পেরেছি। তারা যদি আবার আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে আমি তাদের কল্যাণে কাজ করে যাব, এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবকিছুর খবর রাখেন।

    তিনি যদি আমার ওপর ফের আস্থা রাখেন, তবে আবারও বিজয় উপহার দিতে পারব তাকে। গত সাড়ে চার বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছেন গোটা চট্টগ্রামকে। নগরবাসী নিশ্চয়ই এটির মূল্যায়ন করবে। 


    gifs website


    প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০