• সর্বশেষ আপডেট

    অভিনেতা থেকে নেতা, অতঃপর চির বিদায় তাপশ


    ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম সদ্য প্রয়াত তাপস পাল। তার অভিনয় দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। শুধু অভিনয়ের মঞ্চে নয়, রাজনীতির মঞ্চেও তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জয় করেছিলেন কৃষ্ণনগরের জনগণের হৃদয়ও।

    পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্ম নেয়া এ অভিনেতা ২০০৯ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট নিয়ে কৃষ্ণনগর থেকে এমপি নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অভিনেতা থেকে নেতায় পরিণত হন।

    রাজনীতির মঞ্চে জড়িয়ে জনগণের বিরাগভাজন হলেও তার সু-অভিনয় দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে যুগের পর যুগ। গুরুদক্ষিণা সিনেমায় গুরুর প্রতি তার যে ভক্তি-শ্রদ্ধা তা শিক্ষণীয় হযে থাকবে সব শিষ্যের কাছে। অভিনয় গুণে দর্শকের মণিকোঠায় ঠাঁই পাওয়া তাপস পালও দেহাবসানের সঙ্গে সঙ্গে ফুরিয়ে যাবেন না। তিনি অমর হয়ে থাকবেন তার অভিনয়ের মাঝে। 

    ভারতের এ জনপ্রিয় অভিনেতা মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তার মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ কলকাতার পুরো সিনেমাপাড়া।

    ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলেন তাপস পাল। কলেজে পড়ার সময়ে নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের। মাত্র ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় প্রথম ছবি দাদার কীর্তি। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের।

    ১৯৮১ সালে সাহেব ছবির জন্য ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান তাপস পাল। বাংলার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অবোধ ছবিতে। আর ‘গুরুদক্ষিণা’ ছবির জন্য তাকে আজীবন মনে রাখবে দুই বাংলার দর্শকমহল। ওই ছবিতে কালী বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার যুগল বন্দি রীতিমতো কাঁদিয়েছিল বাংলার দর্শককে। ১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্মগ্রহণ করেন তাপস পাল।

    gifs website


    প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০