• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    নিজেদের মাঠেও সব ম্যাচে জয়হীন সিলেট থান্ডার




    নিজেদের মাঠে ভাগ্য বদল করতে পারেনি সিলেট থান্ডার। সিলেট পর্বের তিন ম্যাচের তিনটিতেই হার তাদের।বিপিএলের এবারের আসরে ১১ ম্যাচ খেলে তাদের জয় মাত্র একটিতে।যদিও ঢাকাতে তাদের আরো একটি ম্যাচ রয়েছে।

    ১৪৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আফিফ ও লিটন উড়ন্ত সূচনা করেন রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে। প্রথম উইকেট জুটিতে তারা দুজন মাত্র ৩৪ বলে যোগ করেন ৫৯ রান। ২০ বলে ৩৬ রান করে রাদারফোর্ডের বলে প্যাভিলিয়নে লিটন ফিরলে ভাঙ্গে এই উইকেটের জুটি। তবে রাহশাহীর রানের লাগাম কোন ভাবে সিলেটের বোলাররা ধরে রাখতে পারেনি। 

    রাজশাহীর ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি যে তারা অল্প রানের টার্গেট ব্যাট করছে। বিপিএলের এবারের মৌসুমের দ্বিতীয় ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৬ রানে রান আউটের শিকার হোন আফিফ হোসেন। শোয়েব মালিকের ২২ বলে ২৭ রান ও শেষ দিকে মোহাম্মদ নেওয়াজের ৭ বলে ১৭ রানের কল্যাণে ২৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে আসলো দলটি। ১০ ম্যাচ খেলে তাদের জয় ৭টিতে।

    এর আগে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে স্বাগতিক দল সিলেট থান্ডার। প্রথম ৪ ওভারে ২৬ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন সিলেটের অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ও আব্দুল মজিদ। ১১ বলে ১৬ রান করে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন মজিদ।

    তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লস। ৮ রান করে ফিরেন তিনি। ধীরলয়ে শুরু করে আউট হন ফ্লেচারও। ৩৩ বলে ২৫ রান করেন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান এই ক্যারিবিয়ান। তবে চতুর্থ উইকেটে বড় জুটির চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ মিথুন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেরফেন রাদারফোর্ড।

    মারমুখী মেজাজে মাত্র ২২ বলে ৪৭ রান যোগ করে দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ১৪ রানের ব্যবধানে দুজনের বিদায়ে বড় স্কোর গড়তে পারেনি সিলেট। 

    শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান করে স্বাগতিকরা। মিঠুন ৩৮ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৪৭ এবং ১১ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ রান করেন রাদারফোর্ড। রাজশাহীর স্পিনার অলক কাপালি ১৪ রানে ২ উইকেট নেন।


    প্রকাশিত: শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২০