• সর্বশেষ আপডেট

    যেভাবে শনাক্ত করা হয় ধর্ষক মজনুকে




    ধর্ষক মজনুর সামনের দাঁত ভাঙা—এটিই ছিল তাকে শনাক্ত করার প্রধান ক্লু। ১২ বছর আগে ট্রেন থেকে পড়ে দাঁত ভেঙে যায় তার। ।

    বুধবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাসেম। 

    র‌্যাব বলছে, ৭ জানুয়ারি রাতে কুরাতলী এলাকা থেকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় খাইরুল নামে এক রিকশা চালকের কাছ থেকে। খাইরুল সেটি কেনেন অরুনা নামে এক নারীর কাছ থেকে। অরুনার কাছে ফোনটি বিক্রি করে মজনু। এই তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাকে। উদ্ধার হয় শিক্ষার্থীর ব্যাগ, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য সামগ্রী।

    র‌্যাব জানান, নির্যাতিতা মেয়েটির দেয়া তথ্য এবং অরুনার দেয়া তথ্য মিলিয়ে বোঝা যায় যে, ধর্ষণকারী ও অরুনার কাছে মোবাইল বিক্রিকারী একই ব্যক্তি। দুজনের বর্ণনাতেই সামনে দাঁত না থাকা, নোয়াখালীর স্থানীয় ভাষায় কথা বলা, চুল কোঁকড়া এবং খর্বকায় একজন ব্যক্তির কথা উঠে আসে।

    সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, অরুনার দেওয়া তথ্য ও ভিকটিমের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে বুঝতে পারি উভয়ই একই ব্যক্তি। পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, আমি নিজেও কথা বলেছি। ভিকটিম বলেছেন, পৃথিবীর সব চেহারা ভুলে যেতে পারি, এই লোককে ভুলবো না।

    তিনি আরো জানান, র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মজনু ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। স্বীকার করেছে সে একাই ছিল, ভিকটিমও তেমনই বলেছে। 

    কাসেম বলেন, মজনু জানিয়েছে, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তার অবস্থার কারণে সে আর বিয়ে করতে পারেনি। এরপর থেকে সে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী নারী এবং ভিক্ষুককে ধর্ষণ করেছে।

    র‌্যাবের দাবি, হাতিয়ার নোয়াখালীর মজনু দশ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় আসে। হকারের কাজ ছেড়ে এক পর্যায়ে ছিনতাই শুরু করে। হয়ে পড়ে মাদকাসক্ত। 

    কাসেম আরো বলেন, সে পেশায় দিনমজুর ও হকার বললেও এর পাশাপাশি ছিনতাই ও চুরি করে। ঘটনার দিন কুর্মিটোলা হাসপাতালের কাছ থেকে অনুসরণ করে শিক্ষার্থীটিকে।

    র‌্যাবের দাবি, ভবঘুরে এই ছিনতাইকারী ঘটনার দিন রাতে এয়ারপোর্ট রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে চলে যায় নরসিংদী। পরে ফেরত আসে ঢাকায়। ঘুরতে থাকে বনানী রেলস্টেশনে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে এখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

    এর আগে গত রোববার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞাত এক যুবক। 

    এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৩০-৩৫ বছরের এক ব্যক্তি আসামি করা হয়।


    প্রকাশিত: বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২০