• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    আবারও ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ



    ইরানের খনিজ সম্পদ, শিল্প ও বস্ত্র খাতের ওপর এই অবরোধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

    রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসবাদী’ কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেলে ইরানের অর্থনীতি আরও ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন হবে বলে ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

    আগেই ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার লেনদেন, স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতব পদার্থ, কয়লা এবং সফটওয়্যার ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ছিলো।

    ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সবচেয়ে মূল্যবান পণ্য অপরিশোধিত তেলের ওপর অবরোধ জারি করেন। 

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রয়োজনে ওয়াশিংটন ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

    ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ জারির বিষয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান মোহসেন রেজাই বলেছেন,  এসব অর্থনৈতিক অবরোধ এক ধরণের প্রতীকী বিষয়। প্রতীকী এ কারণে যে, এই পদক্ষেপের ফলে (ইরানের ওপর) কোনো অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে না। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এবং ওয়াশিংটনের প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধও নেই।

    ইয়েমেনে ইরানি সেনাপতিকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ

    গতকাল দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, গত সপ্তাহে ইয়েমেনে এক গোপন হামলায় ইরানের এক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। পরে সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

    কর্মকর্তারা জানান, ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) ঊর্ধ্বতন কমান্ডার আবদুল রেজা শাহলাইকে লক্ষ্য করে একটি বিমান হামলার নকশা তৈরি করা হয়। তবে তা সফল হয়নি।

    মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, শাহলাই ইয়েমেনে অবস্থান করছেন এবং ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করাসহ ‘বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন মিত্রদের লক্ষ্য করে হামলার দীর্ঘ ইতিহাস’ রয়েছে তার। 

    প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২০