• সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ

    শিথিল বুয়েট আন্দোলন।

    শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে উপাচার্যের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর শিক্ষার্থীরা এখনই বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।


    আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ১০ দফা দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। ভিসি স্যারের অনুরোধ ও সারা দেশের ভর্তিচ্ছুদের ভর্তি পরীক্ষার স্বার্থে আন্দোলন শিথিল করা হয়েছে।

    কী ছিলো বুয়েট শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিতে-

    ১. আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে এখনই সাময়িক বহিষ্কার করতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে মর্মে বুয়েট প্রশাসন থেকে নোটিস জারি করতে হবে।

    ২. আবরার হত্যা মামলার সব খরচ বুয়েট প্রশাসন বহন করবে এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকবে, সেটাও নোটিসে লেখা থাকবে।

    ৩. বুয়েটে সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে সকল হল থেকে অবৈধ ছাত্র উৎখাত করতে হবে। অবৈধভাবে হলের সিট দখলকারীদের উৎখাত করতে হবে। সাংগঠনিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অফিস রুম সিলগালা করতে হবে। সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পর ভবিষ্যতে কেউ যদি এ রকম সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িত হয় কিংবা কোনো রকম ছাত্র নির্যাতনে জড়িত হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবে- তা বিস্তারিত জানিয়ে নোটিস জারি করতে হবে। পরবর্তীতে এটি যে অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তা নোটিসে উল্লেখ থাকতে হবে। পাশাপাশি, এ ধরনের কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি কমিটি করতে হবে এবং কমিটি গঠনের বিষয়টিও নোটিসে উল্লেখ করতে হবে।

    ৪. বুয়েটে পূর্বে ঘটে যাওয়া সকল ছাত্র নির্যাতন, হয়রানি, র‌্যাগিংয়ের ঘটনা এবং ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা প্রকাশের জন্য বিআইআইএস অ্যাকাউন্টে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম থাকতে হবে। বিষয়টি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে শাস্তি বিধানের জন্য একটি কমিটি থাকতে হবে। বিষয়টি নোটিসের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।

    ৫. প্রত্যেক হলের সকল ফ্লোরের দুই পাশে সিসি ক্যামেরা যুক্ত করতে হবে এবং এই সিসিটিভি ফুটেজ সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে- এই মর্মে নোটিস আসতে হবে।

    এই পাঁচ শর্ত তুলে ধরে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বলেন, আমরা চাই না ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বুয়েটে ১৯ ব্যাচের যে শিক্ষার্থীরা আসবে, তারা একটি অসুস্থ অ্যাক্যাডেমিক কালচারের অংশ হোক।


    ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষার যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সেই কারণে রোববার (১৩ অক্টোবর) ও সোমবার (১৪ অক্টোবর) আন্দোলন শিথিল করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

    প্রকাশিত: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯