• সর্বশেষ আপডেট

    যে কোনো নারী কিংবা মা- কাশেম নবী


    'মা' বলে ডাক দিয়ে দিকশূন্য আঁধারে ছুটে গেলে 
    আলোহাতে দরোজা খুলে যায় রাশি রাশি

    ডাক দিয়ে দেখো -- সব নদী 'ধানসিঁড়ি';
    পুত্রের মতো দাঁড়ালে যে কোনো নারীই মা হয়ে যায়  

    নিজের আঙ্গুলের গোপনে যতো ফড়িংয়ের শবদেহ পড়ে থাকে আবছায়ায়
    হেমন্তের ঘাসবনে বেজে ওঠে যতো বিউগল,

    তারা বিকেলের নদী পার হয়ে যায় আত্মার খোঁজে
    সমস্ত বিলোল দুপুরে পড়ে থাকে নূপুর  

    কিছু ধুলো লেগে থাকে বনডুমুরের পাতায়;
    গম থেকে রুটির স্বাদ ভেসে এলে 

    কার মুখ এঁকে বসে থাকে মা!
    এখনও শীষে পড়ে আছে মায়ানদী, বপনকালের গান,

    তাই কি ঘুমের দ্রবণে চিরদিন মিশে থাকে মায়ের গীত!
    শস্যদানার ভেতরে গেলে কে নূপুর হারিয়ে 

    তাবৎ ক্যানভাসে পুত্রশোকে কেঁদে ওঠে!
    নারী শেষপর্যন্ত মা ছাড়া আর কিছু নয় -- 

    জ্ঞান নিয়ে তীর্থযাত্রা ফেলে ফিরে আসতে পারো;
    ক্বলবে বুনে দিতে পারো মা-ডাকের নাদ;

    মানুষের বিজ্ঞান আর ধর্ম এখনও কাকতাড়ুয়া-ক্লাসে পড়ে
    মায়ের মতো এতো লেখা-পড়া শিখেনি তারা
    মা, ভাত দাও
    ২৮ আগস্ট, ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ


    সন্দ্বীপের কৃতি সন্তান কাশেম নবী, নবাব সিরাজউদ্দৌলা স্বর্ণপদক লাভ করেছেন ২০১১ সালে।
    বাংলা কবিতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় তাকে এই  পদক দেওয়া হয়।

    ২১  ডিসেম্বর জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মজিবুর রহমান ফকির এমপি।

    কবি কাশেম নবীর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো - 'উদ্বাস্ত আমিও','আমি আর শয়তান গলা ধরে কাঁদি', ইত্যাদি